Firhad Hakim

Firhad Hakim: নয়ডা থেকে শিক্ষা, শহরে বেআইনি নির্মাণ ধরতে প্রতি ওয়ার্ডে লোক নিয়োগ হবে, জানালেন ফিরহাদ

নয়ডায় যমজ অট্টালিকা ধ্বংসের পর প্রশ্ন ওঠে, এ ভাবেই কি বেআইনি নির্মাণ ভাঙা হবে? কিন্তু কলকাতা পুরসভা সে পথে হাঁটবে না, জানালেন মেয়র।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ অগস্ট ২০২২ ১৮:২৭
Share:

নয়ডা টুইন টাওয়ার ধ্বংসের মতো ব্যাপার এড়িয়ে চলতে চাই: ফিরহাদ ফাইল ছবি।

রবিবার বিস্ফোরক দিয়ে নয়ডার বেআইনি যমজ অট্টালিকা ধসিয়ে দেওয়া হয়েছে। তেমন ঘটনা কি কলকাতাতেও ঘটতে পারে? জবাবে মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানালেন, বেআইনি নির্মাণ খতিয়ে দেখতে কলকাতা পুরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে বিল্ডিং বিভাগের লোক নিয়োগ করা হবে। বেআইনি নির্মাণ খুঁজে পেলেই তা ভেঙে দেওয়া হবে।

Advertisement

নয়ডার স্থানীয় নির্মাণ আইন লঙ্ঘনের কারণে একটি আবাসনের দু’টি অট্টালিকা ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেয় আদালত। সেই অনুযায়ী, গত রবিবার বিস্ফোরক দিয়ে ধুলোয় মিশিয়ে দেওয়া হয় ওই যমজ অট্টালিকা। তার পরই প্রশ্ন উঠছে, কলকাতায় বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধেও কি একই রকম ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছে পুরসভা? মেয়র ফিরহাদ এই প্রশ্নের জবাবে জানিয়ে দিলেন, নয়ডায় যে ভাবে বিস্ফোরক দিয়ে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বেআইনি যমজ অট্টালিকা, কলকাতা পুরসভা সেই পথে হাঁটতে চায় না। তিনি বলেন, ‘‘আমরা নয়ডা টুইন টাওয়ার ধ্বংসের মতো ব্যাপার এড়িয়ে চলতে চাই। তাই প্রতিটি ওয়ার্ডে পুরসভার বিল্ডিং বিভাগের লোক নিয়োগ করা হবে। তাঁরা সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডে বেআইনি নির্মাণের ব্যাপারটি খতিয়ে দেখবেন। নজরে এলে আমরা তা ভেঙে দেব।’’

বিল্ডিং বিভাগে ৪৭টি নতুন পদ তৈরির প্রয়োজনীয়তার কথা জানিয়ে নবান্নের কাছে প্রস্তাব পাঠাচ্ছে পুর কর্তৃপক্ষ। সূত্রের খবর, এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার (সিভিল) ৬, অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার (সিভিল) ১৯ এবং সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার ২২, এই নয়া পদগুলি তৈরির প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে, বিল্ডিং বিভাগের অনুমোদিত অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার (সিভিল) পদ রয়েছে ৪৭টি। যেখানে ৩১টি পদে কর্মী রয়েছে। বাকি ১৬টি পদে স্থায়ী কর্মী নিয়োগের প্রয়োজন রয়েছে। অন্যদিকে, সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার (সিভিল) পদ রয়েছে ৭৮টি। ৪৫টি পদে কর্মী রয়েছে। বাকি ৩৩টি পদে কর্মীর প্রয়োজন।

Advertisement

প্রসঙ্গত, নয়ডার সেক্টর ৯৩-এর যে দু’টি বিল্ডিং এই মুহূর্তে বিতর্কের কেন্দ্রে, তার একটি ৩২ তলার, নাম ছিল অ্যাপেক্স, উচ্চতা ৯৭ মিটার। এবং দ্বিতীয় অট্টালিকাটির নাম সিয়েন, উচ্চতা ৯৭ মিটার, ২৯ তলা। সাড়ে তিন হাজার কেজিরও বেশি বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়। সাড়ে ন’সেকেন্ডের মধ্যেই দু’টি যমজ অট্টালিকা ধুলোয় মিশে যায়। তার পরেই প্রশ্ন উঠতে থাকে, এর পর থেকে কি বেআইনি নির্মাণ ভাঙার ক্ষেত্রে এই নীতিই গ্রহণ করবে সরকারি সংস্থাগুলি। সেই প্রেক্ষিতেই ফিরহাদকে প্রশ্ন করা হয়। যদিও নয়ডার পথে যেতে যে কলকাতা পুরসভা নারাজ, তা স্পষ্ট করে দেন কলকাতার মেয়র।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement