প্রদীপকে শুভেচ্ছা। নিজস্ব চিত্র
বর্ষা আসন্ন। লকডাউনের জেরে ভেস্তে গিয়েছে আইআইটিকে দেওয়া পুরসভার নিকাশির মাস্টার প্ল্যান। মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় ভেঙেছে তৃণমূল পরিচালিত পুরবোর্ডও। এ বার তৃণমূল বিধায়ক তথা প্রাক্তন পুরপ্রধান পুর-প্রশাসকের দায়িত্ব নিয়ে প্রথম দিনেই খড়্গপুরের নিকাশি সমস্যার সমাধানে মহকুমাশাসককে সঙ্গে নিয়ে রেলের সঙ্গে বৈঠকে বসলেন।
বৃহস্পতিবার খড়্গপুর পুরসভার সভাগৃহে মহকুমাশাসক বৈভব চৌধুরীর উপস্থিতিতে প্রশাসকের দায়িত্ব নেন বিধায়ক প্রদীপ সরকার। গত ৫ বছর ধরে চলা তৃণমূল পুরবোর্ডের মেয়াদ বুধবারই ফুরিয়েছে। সেই মতো শহরের ৩৫জন কাউন্সিলর আর থাকছেন না। মেয়াদ শেষের আগেই গত ২জুন পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর প্রশাসক নিয়োগের চিঠি পাঠায়। তাতে প্রাক্তন পুরপ্রধান তথা বিধায়ক প্রদীপ সরকারকে প্রশাসক হিসাবে মাথায় রেখে ছ’জনের কমিটি গঠন করতে বলা হয়েছে। সেই মতো এ দিন কমিটিতে প্রাক্তন পুর-পারিষদ শেখ হানিফ, তৈমুর আলি খান, রীতা সেনগুপ্ত, সুরেশ যাদব ও পূজা নায়ডুকে রাখা হয়েছে। প্রশাসকের দায়িত্ব নিয়ে প্রদীপ বলেন, “পাঁচ বছর আমাদের যে তৃণমূলের বোর্ড চলেছে, তাতে বিরোধীদের ক্ষোভের মুখে সে ভাবে পড়তে হয়নি। আশা করব আগামীতেও সকলের সহযোগিতায় পুরসভা এগিয়ে যাবে। ৩৫জন প্রাক্তন কাউন্সিলর এই প্রশাসক কমিটির শরিক হিসাবেই এলাকায় কাজ করবেন। সকলে মিলে আমরা শহরকে আরও সুন্দর করে তুলব।”
বেহাল নিকাশি বহু দিন ধরেই রেলশহরে হতশ্রী করে তুলেছে। প্রতিবার ভোট এলেই সুষ্ঠু নিকাশির প্রতিশ্রুতি জোটে। এ বারও বিধানসভা উপ-নির্বাচনে সেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রদীপ। পরে আইআইটিকে দিয়ে নিকাশির মাস্টার প্ল্যানের পরিকল্পনা হয়। মহকুমাশাসকের উপস্থিতিতে আইআইটির প্রতিনিধিদের নিয়ে শহরের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন পুরপ্রধান। অবশ্য এখনও সেই প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়নি। সামনেই বর্ষা। পরিস্থিতি সামলাতে এ দিনের বৈঠকে ডাকা হয় রেলের প্রতিনিধিদের। ছিলেন রেলের এক অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার। প্রদীপ বলেন, “নিকাশির মাস্টার প্ল্যান গড়ার কাজ লকডাউনে থমকে গিয়েছে। তার আগে এ বারের বর্ষা কী ভাবে মোকাবিলা করা যায়, তাই রেলের সঙ্গে বৈঠকে বসেছি।”
রেল এলাকার নর্দমা রেল ও পুর এলাকার নর্দমা পুরসভা পরিষ্কার করবে বলে এ দিনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে। মহকুমাশাসক বৈভব বলেন, “যেহেতু বর্ষা আসছে তাই সুষ্ঠু নিকাশি ও ডেঙ্গি সমীক্ষায় এ বার নজর দিতেই হবে। রেল ও পুরসভা নিজেদের এলাকায় নিকাশি নালা পরিষ্কার করবে। তবে রেল-পুর সীমানা এলাকায় কী ভাবে কাজ হবে তা নিয়ে আরও একবার আলোচনা হবে। আমরা রেলের এলাকায় কয়েকটি শৌচাগার গড়ার অনুমতিও চাইব।”