MLA

স্বাধীনতা দিবসে বিতর্কে বিধায়ক

শনিবার সন্ধ্যায় স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ডেবরায় এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন স্থানীয় বিধায়ক সেলিমা খাতুন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ছিল গান-বাজনার আয়োজন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ডেবরা শেষ আপডেট: ১৭ অগস্ট ২০২০ ০০:২৭
Share:

চলছে জলসা। নিজস্ব চিত্র

স্বাধীনতা দিবসের সন্ধ্যায় তৃণমূল বিধায়কের উদ্যোগে জলসা। অভিযোগ, সামাজিক দূরত্ব উড়িয়ে গান-বাজনা সবই হল সেখানে।

Advertisement

শনিবার সন্ধ্যায় স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ডেবরায় এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন স্থানীয় বিধায়ক সেলিমা খাতুন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ছিল গান-বাজনার আয়োজন। এমন ঘটনায় বেধেছে বিতর্ক। ডেবরায় যেখানে ক্রমেই বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। মৃত্যু হয়েছে ২জনের। সেখানে করোনার সতর্কতা বিধি লঙ্ঘন করে এমন জলসার আয়োজন ঘিরে প্রশ্ন উঠেছে। কারণ, ভিড়ে ঠাসা অনুষ্ঠানে অনেককে মাস্ক ছাড়া দেখা গিয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। এমনকি, বিরোধীদের অভিযোগ, ওই অনুষ্ঠানের পুলিশি অনুমতি ছিল না। বিজেপির জেলা সভানেত্রী অন্তরা ভট্টাচার্য বলেন, “পুলিশি অনুমতি ছাড়া করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্যের নিষেধাজ্ঞা উড়িয়ে তৃণমূল বিধায়ক এই জলসার আয়োজন করেছিলেন। ভিড়ে ঠাসা ওই অনুষ্ঠানে মাস্ক ছাড়া লোকজন গা ঘেঁষে বসেছিল। অথচ প্রশাসন চুপ। কিন্তু আমাদের প্রতিটি কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে।”

পুলিশ জানিয়েছে, অনুমতি নেওয়া হয়েছিল কি না, সে বিষয়টি তাদের জানা নেই। যদিও ডেবরার বিধায়ক সেলিমা বলেন, “অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মী ও কৃতী পড়ুয়াদের সংবর্ধনায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলাম। তাতে একটি উদ্বোধনী সঙ্গীত ও একটি নৃত্য পরিবেশিত হয়েছে। মাত্র ২০-২২জন লোক হয়েছিল। সকলে মাস্ক পড়েছিল। অকারণে বিরোধীরা এই বিতর্ক সৃষ্টি করছে।”

Advertisement

সংবর্ধনা সভা নয়। তবে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে সামাজিক দূরত্বের বিধিভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে ঝাড়গ্রামেও। রবিবার লালগড় ব্লক তৃণমূলের কার্যালয়ে রাজ্য সম্পাদক ছত্রধর মাহাতো, জেলা সভাপতি দুলাল মুর্মু, জেলার কো-অর্ডিনেটর অজিত মাহাতোর উপস্থিতিতে বিজেপি-র কয়েকজন তৃণমূলে যোগ দেন। তাঁদের মুখে মাস্ক থাকলেও সামাজিক দূরত্ব শিকেয় তুলে পতাকা হাতে তুলে দিয়ে দলবদল কর্মসূচিটি হয়। এ দিনই ঝাড়গ্রামের বাঘঝাঁপা গ্রামে বিজেপি-র কর্মসূচিতে তৃণমূলের বেশ কয়েকজনকে যোগদানের দাবি করা হয়। কিন্তু সেখানে আবার কারও মুখে মাস্ক ছিল না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement