BJP

বোমাবাজি, আক্রান্ত পুলিশ

এই পরিস্থিতিতে বুধবার দল থেকে তৃণমূলের এই দাপুটে নেতার ইস্তফার পরে বৃহস্পতিবার উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয় আড়গোয়াল-১৪ নম্বর  গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস সংলগ্ন কালীর বাজার এলাকায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০২০ ০০:৫১
Share:

কার্যালয়ের সামনে আগুন (বাঁদিকে)। ভাঙা হয়েছে পুলিশের গাড়ি।

অঞ্চল সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রণক্ষেত্র হয়ে উঠল পটাশপুর। পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর, পুলিশকে মারধর, বোমাবাজি এবং তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর করে আসবাব পত্রে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।

Advertisement

গত বুধবার পটাশপুর-২ ব্লকের আড়গোয়াল অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি পদ ও দল থেকে ইস্তফা দেন প্রাক্তন তৃণমূল নেতা অপরেশ সাঁতরা। ‘দাদার অনুগামী’ হিসাবে পরিচিত এই নেতার ইস্তফা দেওয়ায় এলাকায় বাড়তি অক্সিজেন পায় বিরোধী শিবির। তাদের অভিযোগ, তৃণমূলের শাসনে এলাকায় সন্ত্রাসের সঙ্গে ঘর করতে হয়েছে বাম এবং বিজেপিদের। গত পঞ্চায়েত ভোটে বিরোধীদের ভোট দিতে দেয়নি তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা।

এই পরিস্থিতিতে বুধবার দল থেকে তৃণমূলের এই দাপুটে নেতার ইস্তফার পরে বৃহস্পতিবার উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয় আড়গোয়াল-১৪ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস সংলগ্ন কালীর বাজার এলাকায়। স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন দুপুরে কালীর বাজার অঞ্চল তৃণমূলের কার্যালয়ে ভাঙচুর করে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। অভিযুক্ত বিজেপি।

Advertisement

তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি’র আশ্রিত দুষ্কৃতীরা কার্যালয়ে ঢুকে লুটপাট চালিয়েছে, অফিসের আসবাবপত্র, টিভি, আলমারি, ফ্যান়, মোটরসাইকেল, চেয়ার, কাগজপত্র বাইরে জড়ো করে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে। পটাশপুর-২ ব্লকের তৃণমূলের সভাপতি মৃণালকান্তি দাস বলেন, ‘‘বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আমাদের পার্টি অফিস ভাঙচুর এবং আগুন লাগিয়েছে। এই ধরনের কাজ অন্তত্য নিন্দনীয়।’’

স্থানীয়দের অভিযোগ, ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলে তাদের উপরেও হামলা করে দুষ্কৃতীরা। গাড়ি ভাঙচুর এবং পুলিশ কর্মীদের মারধর করা হয়। এখানেই শেষ নয়, সন্ধ্যায় এলাকায় ফের বোমাবাজি করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলে মোতায়েন রয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী ও র্যা ফ। এ ব্যাপারে জেলা পুলিশ সুপার প্রবীন প্রকাশ বলেন, ‘‘দলীয় কার্যালয় দখল নিয়ে গন্ডগোল আটকাতে গেলে দুষ্কৃতীরা পুলিশের উপর আক্রমন করেছিল। দুষ্কৃতীদের হাতে আমাদের অফিসার-সহ বেশ কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছেন।’’

গোটা ব্যাপারে বিজেপি’র কাঁথি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী বলছেন, ‘‘মানুষের জনরোষ রাস্তায় নেমে এসেছে। সেই জনরোষে শিকার হচ্ছে তৃণমূলের দুষ্কৃতী থেকে তাদের দলীয় কার্যালয়। ঘটনায় বিজেপির কেউ যুক্ত নয়। পুলিশের উপর আক্রমনের কখনও সমর্থন যোগ্য নয়।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement