—ফাইল চিত্র
পরিস্রুত পানীয় জল, আবর্জনা মোকাবিলা-সহ নানা দাবিদাওয়া নিয়ে পুরসভা অভিযান করল বাম-কংগ্রেস। সেখানে শুভেন্দু অধিকারীর প্রসঙ্গ টেনে বিজেপি-তৃণমূলকে একযোগে বিঁধলেন সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম।
বুধবার দুপুরে পুরসভার সামনেই এই কর্মসূচি হয়। এ দিন কালো জলের সমাধান, জঞ্জালমুক্ত শহর, দুর্নীতিমুক্ত পুরসভা, রেল এলাকায় পরিষেবা, বাস্তু লিজ, বাসস্থানের মতো নানা দাবির সঙ্গেই পুরসভা নির্বাচনেরও দাবিও তোলা হয়। মহম্মদ সেলিম ছাড়াও ছিলেন সিপিআইয়ের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সন্তোষ রানা, সিপিআই নেতা বিপ্লব ভট্ট, সিপিএম নেতা সবুজ ঘোড়াই, শহর কংগ্রেসের নেতা অমল দাস প্রমুখ। তৃণমূলের আমলে ধর্ষণ, তোলাবাজি, ত্রাণের চাল চুরি হচ্ছে বলে দাবি করে সেলিম বলেন, ‘‘এখন ছাপ্পান্ন ইঞ্চি ছাতির বিজেপি চলে এসেছে। তাঁরা বলছে তৃণমূলকে উৎখাত করবে। কিন্তু কী করছে? সারদা-নারদাতে মমতার সাইনবোর্ড লাগিয়ে যে শুভেন্দু অধিকারী টাকা নিচ্ছিল, চুরি করছিল তিনি এখন ডাকাতি করার জন্য মোদী-অমিত শাহের সাইনবোর্ড লাগিয়ে বসেছেন।” এ দিন বক্তৃতার শুরু থেকেই তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির তুলনা টেনে বাম-কংগ্রেস জোটের প্রাসঙ্গিকতা বোঝানোর চেষ্টা করেন তিনি। কখনও কৃষি আইন, কখনও দুয়ারে সরকার নিয়ে নানা কটাক্ষ করেন। পুর পরিষেবা নিয়ে সরব হয়ে বলেন, “দুয়ারে পরিস্রুত জলটা অন্তত পৌঁছে দিন যাতে মানুষ সেটা খেয়ে বাঁচতে পারে। জলের নমুনা দেখুন কালো জল। এই জল দেখলে করোনাভাইরাসও চলে যাবে।” একই সঙ্গে কেন্দ্র সরকারকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘‘কেন্দ্রের বিজেপি সরকার এখন বলছে, পুঁজি যাঁর জমি তাঁর। রেলের জমি পুঁজিপতিদের হাতে দেওয়া হচ্ছে। তাহলে গরিব মানুষ কোথায় যাবে? রেলের অব্যবহৃত জমির প্রতি ইঞ্চির দাবিদার সাধারণ মানুষ।”