সকলের সই সংগ্রহ করে একটি চিঠিও লেখেন পদত্যাগী নেতারা। চিঠিতে বর্তমান এই জেলা কমিটিকে অযোগ্য বলে অভিহিত করার পাশাপাশি কর্মীদের অসম্মানের চোখে দেখার অভিযোগও তুলেছেন তাঁরা।
নিজস্ব চিত্র
অমিত শাহের রাজ্য সফরের শুরুর দিনেই গণইস্তফা! বিজেপির ঝাড়গ্রাম জেলা নেতৃত্বের উপর ‘আস্থা না রাখতে পেরে’ পদ ছাড়লেন জেলা কমিটির ১৬ এবং মণ্ডল ও শাখা কমিটির ৭০ জন। সব মিলিয়ে ৮৬ জন পদ ছাড়লেও কেউই দল ছেড়ে বেরিয়ে যাননি। বৃহস্পতিবার ঝাড়গ্রাম জেলা বিজেপি পার্টি অফিসে হাজির হয়েছিলেন তাঁরা। তবে জেলা সভাপতি বা অন্য কোনও পদাধিকারী না থাকায় সংবাদমাধ্যমের সামনেই তাঁরা পদত্যাগের কথা জানান। এই গণইস্তফা প্রসঙ্গে বিজেপির জেলা সভাপতি তুফান মাহাতোকে একাধিক বার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
সকলের সই সংগ্রহ করে একটি চিঠিও লেখেন পদত্যাগী নেতারা। চিঠিতে বর্তমান এই জেলা কমিটিকে অযোগ্য বলে অভিহিত করার পাশাপাশি কর্মীদের অসম্মানের চোখে দেখার অভিযোগও তুলেছেন তাঁরা। জেলা সভাপতির কাছে বিভিন্ন পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার সেই চিঠি পাঠিয়েও দিয়েছেন ওই নেতারা। পদত্যাগীদের দাবি, সাধারণ সদস্য হিসেবে দলকে ভালবেসে তারা বিজেপি করবেন।
বিনপুরের মণ্ডল সভাপতি ছিলেন চন্দ্রশেখর প্রতিহার। তাঁকে সরিয়ে জেলা কমিটির সদস্য করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার চন্দ্রশেখর বলেন, ‘‘কোনও আলাপ আলোচনা ছাড়াই আমাকে জেলা কমিটির সদস্য করা হয়েছে। মামলা মকদ্দমায় কর্মীদের সাহায্য করছেন না নেতৃত্ব। কোনও রকম কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে না। সাধারণ কর্মী হিসেবে এলাকায় কাজ করব।’’
শালবনির মণ্ডল সভাপতি পূর্ণচন্দ্র মাহাতো বলেন, ‘‘মণ্ডল সভাপতি থেকে জেলা কমিটির সদস্য করা হয়েছে। জেলা কমিটির বিরুদ্ধেই আমাদের ক্ষোভ। কোনও কর্মীর সঙ্গে এদের যোগাযোগ নেই।’’