মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল ছবি।
এগরার বিস্ফোরণকাণ্ড নিয়ে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। এই আবহে বৃহস্পতিবার এগরার সেই খাদিকুল গ্রামে যেতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রীর চূড়ান্ত সফর সূচি এখনও হাতে এসে পৌঁছয়নি। তবে মুখ্যমন্ত্রীর সফরের ইঙ্গিত মিলেছে। সেই মতো প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছে।
ঘটনাচক্রে, মঙ্গলবারই শুভেন্দু অধিকারী এগরার দলীয় কর্মসূচি থেকে নিশানা করেন মুখ্যমন্ত্রীকে। ঘটনার এত দিন পরেও কেন তিনি ঘটনাস্থলে আসেননি, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, ‘‘এগরায় অনেক আগেই মুখ্যমন্ত্রীর আসা উচিত ছিল। ওঁর কাছে তো হেলিকপ্টার আছে। তবুও যখন উনি আসবেন, তখন শ্রাদ্ধ-শান্তি সব শেষ হয়ে যাবে।’’
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর সফরের ইঙ্গিত পাওয়ার পরেই অস্থায়ী হেলিপ্যাড তৈরির তোড়জোড় শুরু হয়েছে। খাদিকুল থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে আলিপুর গ্রামের ফাঁকা মাঠে সেই হেলিপ্যাড তৈরি করা হতে পারে। মঙ্গলবার সেই জায়গাটি পরিদর্শনও করেন জেলা প্রশাসনের আধিকারিকেরা। প্রশাসনের একটি সূত্র জানিয়েছে, খাদিকুলে বিস্ফোরণের ঘটনায় যাঁদের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের পরিবারের লোকেদের সঙ্গে দেখা করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। এ বিষয়ে রাজ্যের কারা প্রতিমন্ত্রী অখিল গিরির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। রামনগরের বিধায়ক অখিলও বলেন, ‘‘আগামী বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী খাদিকুল গ্রামে আসবেন বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জেনেছি। জেলা প্রশাসন যাবতীয় প্রস্তুতি নিচ্ছে।’’
গত মঙ্গলবার ভরদুপুরে খাদিকুলে বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্তত ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক চাপান-উতোর তুঙ্গে। পুলিশ এবং শাসক তৃণমূলকে বিঁধে লাগাতার আক্রমণ শানাচ্ছে বিরোধীরা। সেই ঘটনার পর তৃণমূলের তরফে রাজ্যের মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া, বিপ্লব চক্রবর্তী, এগরার বিধায়ক তরুণ মাইতিরা ওই গ্রামে গিয়ে বাধার মুখে পড়েছিলেন। ফিরে যেতে হয়েছিল তাঁদের। এ বার সেই খাদিকুলে মুখ্যমন্ত্রী যেতে পারেন বলে খবর মিলল।