সরব এসএফআই। সোমবার মেদিনীপুরের পথে। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল
জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে (জেএনইউ) হামলার প্রতিবাদে পথে নামলেন ছাত্রছাত্রীরা। পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম দুই জেলা জুড়ে হল একাধিক মিছিল, পথসভা।
সোমবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মীরা মেদিনীপুরে প্রতিবাদ মিছিল করেছেন। মেদিনীপুর কলেজের সামনে এই মিছিল হয়েছে। টিএমসিপির জেলা সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই ধরনের হামলার ঘটনায় প্রতিবাদের ভাষা নেই। তাণ্ডবের নিন্দায় সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা সরব হয়েছেন।’’ হামলায় অভিযুক্তদের কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছে টিএমসিপি। ডিএসও এদিন প্রতিবাদ দিবস পালন করেছে। মেদিনীপুর কলেজের সামনে থেকে মিছিল করেন সংগঠনের কর্মীরা। বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়েও প্রতিবাদ কর্মসূচি হয়েছে। ডিএসওর জেলা সভাপতি ব্রতীন দাস বলেন, ‘‘বিজেপি ও তাদের ছাত্র সংগঠন কোনও দিনই উন্নত চিন্তার চর্চা করেনি। তাই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ছাত্রসমাজের কাছে তাদের গ্রহণযোগ্যতা কমেছে। আমরা এই ধরনের হামলার তীব্র নিন্দা করছি।’’ পথে নেমেছে এসএফআই। মেদিনীপুরে প্রতিবাদ মিছিল করেছে তারা। বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়েও প্রতিবাদ কর্মসূচি করেছে এসএফআই। এসএফআইয়ের জেলা সম্পাদক প্রসেনজিৎ মুদি বলেন, ‘‘যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে এই ধরনের হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের কঠিনতম শাস্তি হওয়া উচিত।’’
মেদিনীপুরে পথে নেমেছে বিজেপি বিরোধী বিভিন্ন ছাত্র- যুব সংগঠন। বিভিন্ন ক্যাম্পাসের সামনে জমায়েত হয়েছে। জমায়েত থেকে এবিভিপির বিরুদ্ধে স্লোগান উঠেছে। এবিভিপির জেলা সভাপতি স্বরূপ মাইতি অবশ্য বলেন, ‘‘জেএনইউর ঘটনা সাজানো। হামলার ঘটনায় এবিভিপি যুক্ত নয়। এবিভিপিকে বদনাম করতেই ওই ঘটনা ঘটানো হয়েছে।’’ প্রতিবাদ মিছিল হয়েছে বেলদাতেও। বিকেলে সেই মিছিল থেকে এবিভিপির বিরুদ্ধে
স্লোগান তোলে এসএফআই ও ডিওয়াইএফ। ডিএসও প্রতিবাদ দিবস পালন করেছে।
ঝাড়গ্রাম শহরে ধিক্কার মিছিল করেছে যুব তৃণমূল। মিছিলে ছিলেন জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি দেবনাথ হাঁসদা, শহর যুব তৃণমূলের সভাপতি অজিত মাহাতো, টিএমসিপি-র জেলা সভাপতি সত্যরঞ্জন বারিক প্রমুখ। এদিন টিএমসিপি-র ঝাড়গ্রাম রাজ কলেজ ইউনিটের পক্ষ থেকে কলেজ গেটের সামনে ধিক্কার জমায়েত করা হয়। জেলার অন্য কলেজগুলিতেও টিএমসিপি ইউনিটের পক্ষ থেকে ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে অবস্থান বিক্ষোভ করা হয়েছে।