দিঘার সৈকতে থিকথিকে ভিড়। ছবি: অভীক রায়।
ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রং। এই আবহেও রবিবাসরীয় ছুটিতে থিকথিকে ভিড় দিঘায়। তবে সমুদ্রসৈকতে পৌঁছে হতাশ হতে হল পর্যটকদের। কারণ ঘূর্ণিঝড়ের কথা মাথায় রেখে সমুদ্রে পর্যটকদের নামার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন।
পর্যটকদের সমুদ্রস্নানে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে রবিবার থেকে। পরবর্তী নির্দেশিকা না আসা পর্যন্ত সমুদ্রস্নানে ওই নিষেধাজ্ঞা থাকবে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, ঘুর্ণিঝড় সিত্রংয়ের ঝাপটা লাগার সম্ভাবনা রয়েছে সমুদ্র তীরবর্তী এলাকায়। সেই সঙ্গে রয়েছে অমাবস্যার ভরা কটালে সমুদ্রে ব্যাপক জলস্ফীতির আশঙ্কাও। তাই রবিবার থেকে পর্যটকদের সমুদ্রস্নানে নামতে বারণ করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ জোয়ার এলেও শান্ত ছিল সমুদ্র। সমুদ্রে নামতে না পেরে হতাশ পর্যটকদের একাংশ। বারাসত থেকে বেড়াতে যাওয়া পার্থ হালদার বলেন, ‘‘সমুদ্রের এত কাছে এসেও নামতে পারব না, এটা ভেবেই খারাপ লাগছে। এত বার দিঘা এসেছি। কিন্তু কোনও দিন এমন পরিস্থিতির মুখে পড়িনি। যাই হোক, এ দিক ও দিক ঘুরে বেড়িয়েই দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাই।’’
দিঘা হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক বিপ্রদাস চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘হোটেলে পর্যটকদের আনাগোনায় কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি হয়নি। তবে সমগ্র পরিস্থিতির উপর সবার নজর রয়েছে। আজকের দিন কাটলে আবহাওয়ার গতিপ্রকৃতি আরও স্পষ্ট হবে। প্রশাসনের তরফে হোটেল ব্যবসায়ীদের কাছে কোনও নির্দেশিকা এলে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
সমুদ্রসৈকতে বিপদ এড়াতে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি, মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশও।