সমুদ্রের টানে পর্যটকদের ভিড়। — নিজস্ব চিত্র।
পিতৃপক্ষের অবসান শনিতে। রবিবার মহালয়া। শুরু হচ্ছে দেবীপক্ষ। সেই সঙ্গে শুরু হচ্ছে উৎসবের মরসুমও। সেই উৎসবের মরসুমের শুরুতে দিঘামুখী বাঙালি। হোটেল ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার বিকেল থেকেই পর্যটকদের ভিড় বেড়েছে দিঘায়। সঙ্গে বাড়তি পাওনা দিঘার সৈকতে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন।
দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের এগজ়িকিউটিভ আধিকারিক মানসকুমার মণ্ডলের কথায়, ‘‘ইয়াসের ক্ষত সারিয়ে খুব কম সময়েই দিঘার চেহারা আমূল বদলে গিয়েছে। সৈকত আবাসের সামনের পার্ক আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। ওল্ড দিঘার বিশ্ববাংলা পার্ক এবং তার সামনে থাকা সুদৃশ্য গেট, জগন্নাথ ঘাট, পুলিশ হলিডে হোম ঘাট, ঢেউসাগর পার্ক, ওশিয়ানা পার্কের মতো আকর্ষণীয় জায়গাগুলির টানে এখানে পর্যটকরা দলে দলে ছুটে আসছেন।" তাঁর সংযোজন, ‘‘রঙিন আলোর ছটায় রাতের দিঘা এখন আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। সেই সঙ্গে দিঘা-মন্দারমণি মেরিন ড্রাইভ, নয়াকালী মন্দিরের লাইট শো আগামী দিনে দিঘার জনপ্রিয়তাকে আরও বাড়িয়ে তুলবে, সন্দেহ নেই।’’
দিঘায় পর্যটকদের জন্য নানা আকর্ষণ। — নিজস্ব চিত্র।
একই কথা বলছেন অধিকাংশ পর্যটকও। বারাসত থেকে দিঘায় আসা নীলকমল সামন্তের কথায়, ‘‘গত কয়েক বছরে দিঘা সমুদ্র সৈকতের যে আমূল পরিবর্তন ঘটেছে তা আমাদের কাছে যথেষ্ট আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। ওল্ড দিঘার সৈকতাবাস থেকে শুরু করে নিউ দিঘা পেরিয়ে সুদূর ওড়িশার সীমানার উদয়পুর পর্যন্ত বিস্তীর্ণ সৈকত সরণি চোখধাঁধানো সৌন্দর্যে ভরে উঠেছে। একে সপ্তাহান্তের ছুটি। এর সঙ্গে আমাদের কাছে বাড়তি পাওনা পুজোর আমেজ। তাই দল বেঁধে দিঘায় চলে এসেছি।’’