Digha Sea Beach

খরা কাটল দশমীতে, দিঘার সৈকতে হাজার হাজার মানুষ, পর্যটকদের ভিড়ে জমজমাট সমুদ্র-শহর

পুজোর প্রথম দিকে দিঘায় তেমন পর্যটক সমাগম হয়নি। কিন্তু নবমীর রাত থেকেই পালে পালে পর্যটকেরা হাজির হতে থাকে সৈকত শহরে। এতে মুখে হাসি ফুটেছে হোটেল এবং পর্যটন ব্যবসায়ীদের।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০২৩ ১২:৫০
Share:

দশমীর সকালে দিঘার সমুদ্রতটে পর্যটকদের ঢল। — নিজস্ব চিত্র।

পুজোর মুখে দিঘা থেকে মুখ ফিরিয়ে থাকার পর অবশেষে দশমী থেকে দিঘামুখী কাতারে কাতারে পর্যটক। ট্রেন থেকে বাস, বেসরকারি গাড়ি থেকে শুরু করে দু’চাকার বাহন নিয়ে দিঘায় পর্যটকের ঢল। গত কয়েক দিন উৎকণ্ঠায় কাটানোর পর অবশেষে স্বস্তি দিঘার হোটেল ব্যবসায়ী থেকে পর্যটন শিল্পের সঙ্গে যুক্তদের। ‘দিঘা হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশান’ সূত্রে খবর, নবমীর রাত থেকেই পর্যটকেরা দিঘামুখী হতে শুরু করেছিলেন। দশমীর সকাল থেকে দিঘা পরিপূর্ণ।

Advertisement

সূত্রের খবর, বিগত বছরগুলিতে দিঘায় ছুটি কাটাতে আসার জন্য আগাম অনলাইন বুকিংয়ের উপর জোর দিতেন আম পর্যটকেরা। কিন্তু এ বার চিত্রটা ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। এ বার পুজোর ছুটি পড়ার আগে থেকে উত্তরবঙ্গের জঙ্গল, পাহাড়ে ঘেরা পর্যটনক্ষেত্রগুলি পর্যটকদের ভিড়ে গমগম করলেও দিঘা থেকে কার্যত ‘মুখ ফিরিয়ে ছিলেন’ পর্যটকেরা। সম্প্রতি সিকিমে বিপর্যয়ের পর পুরীর হোটেলগুলোতে আগাম বুকিং ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেলেও দিঘা বা সংলগ্ন মন্দারমনি, শংকরপুর, তাজপুরে অনলাইন বুকিং কহতব্য কিছু ছিল না। যার জেরে হোটেল ব্যবসায়ীরা চিন্তার মধ্যে ছিলেন। কিন্তু নবমী নিশি তাঁদের মনের সেই ভয় দূর করে দিয়েছে। সকালের আলো ফুটতেই পালে পালে পর্যটক হাজির দিঘার সৈকতে। দশমীর সকালে দেখা গেল, পর্যটকদের ভিড় উপচে পড়ছে সৈকত শহরে। এ দিন হাওড়া-দিঘা, দিঘা-মেচেদা লোকালে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। দিঘা-হাওড়া সুপার ফার্স্ট ট্রেনও ছিল পর্যটকে ঠাসা।

‘হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর যুগ্ম সম্পাদক বিপ্রদাস চট্টোপাধ্যায় বলেন, “অবশেষে আমরা চিন্তামুক্ত। নবমীর রাত থেকেই পর্যটকেরা দিঘামুখী হতে শুরু করেছেন। দশমীতে সেই ভীড় যথেষ্টই বেড়েছে। খেয়াল করছি, অনলাইনে বুকিংয়ের পরিবর্তে স্পট বুকিংয়ে জোর দিচ্ছেন পর্যটকেরা।’’ আগে থেকে ঘোরার তালিকায় দিঘা ছিল না। কিন্তু শেষ মুহূর্তে দিঘা যাওয়ারই মনস্থির করছেন মানুষ। সম্ভবত, সেই কারণেই স্পট বুকিংয়ের ঢল নেমেছে বলে দাবি বিপ্রদাসের।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement