পুজোয় দিঘায় পর্যটকের ভিড় বাড়ার আশা। — নিজস্ব চিত্র।
দিন কয়েক আগেই দিঘার মুকুটে জুড়েছে নতুন পালক— মেরিন ড্রাইভ। সেই সঙ্গে যোগ হয়েছে আরও নানা আকর্ষণ। সেই করণেই পুজোয় দিঘায় পর্যটকদের সংখ্যা বাড়তে চলেছে বলে জানাচ্ছেন হোটেল ব্যবসায়ীরা। পর্যটকদের সংখ্যা অন্যান্য বারের তুলনায় ১৫-২০ শতাংশ বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মেরিন ড্রাইভ দিঘার মূল আকর্ষণ। — নিজস্ব চিত্র।
পুজোর আগে দিঘার মেরিন ড্রাইভ উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৭৩ কোটি টাকার এই প্রকল্পের উদ্বোধন করে তিনি পুজোর সময় পর্যটকদের আহ্বান জানিয়েছেন দিঘায়। ২৯.৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সেই মেরিন ড্রাইভই এক সুতোয় জুড়ে দিয়েছে দিঘা, তাজপুর, মন্দারমণি এবং শঙ্করপুরকে। মুম্বইয়ের মেরিন ড্রাইভের ধাঁচে তৈরি এই রাস্তাই এখন প্রধান আকর্ষণ পর্যটকদের কাছে।
মেরিন ড্রাইভের মাধ্যমে জুড়ে গিয়েছে তাজপুরও। — নিজস্ব চিত্র।
দিঘার হোটেল ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গাপুজোর অষ্টমীর পর থেকে আবারও ভিড় উপচে পড়তে চলেছে ওই শহরে। দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ (ডিএসডিএ)-এর সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বার এই মেরিন ড্রাইভই পর্যটকদের কাছে হয়ে উঠতে চলেছে দিঘা ভ্রমণের মূল আকর্ষণ। ডিএসডিএ-র এগজ়িকিউটিভ অফিসার মানসকুমার মণ্ডল বলেন, ‘‘এই যাত্রাপথের শুরুতেই দিঘা গেটের পরে রয়েছে বিশালাকার জলাশয়। যেখানে ভিড় জমায় পরিযায়ী পাখিরা। একটু এগিয়ে গেলেই দেখা মিলবে চম্পা নদীর মোহনা। অসাধারণ সৌন্দর্যে ভরা জায়গাটিতে ভিউ পয়েন্ট তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই পথে সামান্য এগিয়েই পৌঁছে যাওয়া যাবে নায়ে কালী মন্দির। শতাব্দীপ্রাচীন এই মন্দিরের সামনে বসছে লেজ়ার শো। এ ছাড়াও, ঢেলে সাজানো হচ্ছে মন্দির চত্বর।’’
মেরিন ড্রাইভ ধরে যাওয়া যাবে শঙ্করপুরও। — নিজস্ব চিত্র।
কলকাতা থেকে সরাসরি বাসে ১১৬ নম্বর জাতীয় সড়কে রামনগরের ১৪ মাইলে নেমেও শঙ্করপুর যাওয়া যায়। এর পর মাত্র ৩ কিলোমিটার রাস্তা পেরোলেই তাজপুর সৈকত (তবে এই রাস্তাটি বর্তমানে সমুদ্রের ঢেউয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় কিছুটা ঘুরপথে তাজপুর পৌঁছাতে হয়)। এর পর ৪ কিলোমিটার রাস্তা পেরিয়ে জলধা সেতু। সেখান থেকে কিছুটা পথ পাড়ি দিলেই মন্দারমণি।
চম্পা নদীর মোহনা। — নিজস্ব চিত্র।
মেরিন ড্রাইভে রয়েছে তিনটি সেতু। সেখানে বসানো হয়েছে পথবাতি। এ ছাড়াও গোটা রাস্তার সৌন্দর্যায়নের কাজ চলছে। ডিএসডিএ-র মতে, এই মুহূর্তে দিঘায় বছরে ২০ থেকে ২৫ লক্ষ পর্যটক ওঠেন হোটেলে। মেরিন ড্রাইভের টানে সেই সংখ্যা ১৫-২০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলেই আশাবাদী উন্নয়ন পর্যদ।