Government Job

স্বাধীনতার পর গ্রামে প্রথম সরকারি চাকরি! আনন্দে মেতে উঠল সোহাগপুর, জনে জনে মিষ্টি বিতরণ

সরকারি চাকরি পাওয়ার আগে রাকেশকে যে সংগ্রাম করতে হয়েছিল তা ছিল অত্যন্ত কঠিন। ১৯ বছর বয়সে তিনি বাবাকে হারিয়েছিলেন। পড়াশোনার খরচ চালানোর জন্য গ্রামের শিশুদের পড়াতে শুরু করেন রাকেশ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

পটনা শেষ আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৩:২৭
Share:

রাকেশের সাফল্যে মেতেছে পুরো গ্রাম। ছবি: টুইটার।

বিহারের মুজফ্‌ফরপুর জেলার কাটরা ব্লকের ছোট্ট গ্রাম সোহাগপুর। কিন্তু এই গ্রামের ‘বদনাম’, দেশে স্বাধীনতা আসার পর থেকে সোহাগপুর গ্রামে কেউ কখনও সরকারি চাকরির মুখ দেখেননি। বড় সরকারি পদ তো দূরের কথা, সরকারি দফতরের পিওনের চাকরিও কেউ কোনও দিন পাননি। কিন্তু গ্রামের সরকারি চাকরির খরা কাটিয়ে ৭৫ বছরে প্রথম সরকারি চাকরি পেলেন সেই গ্রামেরই যুবক রাকেশ কুমার! রাকেশের চাকরি পাওয়ার আনন্দে উৎসবের মেজাজে মেতে উঠেছে সোহাগপুর গ্রামের বাসিন্দারা।

Advertisement

টাইমস্‌ অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবদন অনুযায়ী, ২৫ বছর বয়সি রাকেশ গ্রামেরই একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসাবে চাকরি পেয়েছেন। আর তার পরই তাঁকে নিয়ে মাতামাতি শুরু হয়েছে সোহাগপুর গ্রামে। রাকেশের চাকরির খবর আসা মাত্র গ্রাম জুড়ে মিষ্টি বিতরণও শুরু হয়।

চাকরি পাওয়ার আনন্দে রাকেশ বলেন, ‘‘গত ৭৫ বছরে আমার গ্রামের কেউই সরকারি চাকরি পাননি। আমি এই অপবাদ ঘোচাতে চেয়েছিলাম।’’

Advertisement

জীবনে এখন আনন্দ এলেও সরকারি চাকরি পাওয়ার আগে রাকেশকে যে সংগ্রাম করতে হয়েছিল তা ছিল অত্যন্ত কঠিন। মাত্র ১৯ বছর বয়সে তিনি বাবাকে হারিয়েছিলেন। এর পর পড়াশোনার খরচ চালানোর জন্য গ্রামের শিশুদের পড়াতে শুরু করেন রাকেশ। টিউশন পড়িয়ে উপার্জন করা টাকা থেকেই বই কিনে সরকারি চাকরির প্রস্তুতি তিনি নিয়েছিলেন। তাঁকে টাকা দিয়ে সাহায্য করার মতোও কেউ ছিল না।

এই বিষয়ে রাকেশে বলেন, ‘‘সরকারি চাকরি পাওয়া আমার একমাত্র স্বপ্ন ছিল। আর সেই স্বপ্নই আমাকে কঠোর পরিশ্রম করতে বাধ্য করেছিল।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement