মানিক ভট্টাচার্য। ফাইল চিত্র।
যাদবপুর থানার ডায়েরিতে তিনি ‘নিখোঁজ’, তবে বুধবার মানিক ভট্টাচার্যের খোঁজ পাওয়া গেল। দিল্লির বঙ্গ ভবনের ৫১২ নম্বর রুমে দরজায় টোকা দিতেই বাইরে বেরিয়ে এলেন তিনি। যদিও সামনে সংবাদমাধ্যমকে দেখে দৃশ্যতই মেজাজ হারালেন পশ্চিমবঙ্গের বিধায়ক তথা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি। ভিডিয়োয় দেখা গেল ক্ষুব্ধ মানিক তেড়ে আসছেন সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার দিকে।
টেট মামলায় অভিযুক্ত মানিকের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না মঙ্গলবার সন্ধে থেকেই। তার আগে মঙ্গলবার দুপুরে তাঁকে টেট মামলার তদন্তে সিবিআই দফতরে হাজিরা দিতে বলেছিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এমনকি, বিচারপতি এ-ও বলেছিলেন যে, দরকার পড়লে মানিককে গ্রেফতারও করা যেতে পারে। পরে অবশ্য সুপ্রিম কোর্ট বুধবার পর্যন্ত মানিককে গ্রেফতার করা যাবে না জানিয়ে রক্ষাকবচ দেন। অনুমান করা হয়েছিল, রক্ষাকবচ নিয়ে নির্ধারিত সময়ে সিবিআই দফতরে হাজিরা দেবেন মানিক। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। রাত ৮টার সময় মানিককে সিবিআই দফতরে হাজির হতে বলা হয়েছিল। সন্ধে সাড়ে ৫টা থেকেই আর মানিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। ফোন করলে তা সুইচ়়্ড অফ পাওয়া গিয়েছে।
শেষে মঙ্গলবার রাত ৮টার সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পরও মানিক সিবিআই দফতরে না পৌঁছনোয় পুলিশ খোঁজ শুরু করে মানিকের। যাদবপুর থানায় মানিকের বিরুদ্ধে নিখোঁজ ডায়েরি করেন কলকাতা হাই কোর্টের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অফ পুলিশ। সূত্রের খবর, অ্যাসিসট্যান্ট কমিশনারকে হাই কোর্টের নির্দেশের প্রতিলিপি দেন আদালতের রেজিস্ট্রার জেনারেল। তার ভিত্তিতেই পুলিশ মানিকের খোঁজ শুরু করে। এবং খুঁজে না পেলে নিখোঁজ ডায়েরি দায়ের করে।
সেই অভিযোগের পর প্রায় অর্ধেক দিন পেরিয়ে যাওয়ার পর খোঁজ পাওয়া যায় মানিকের। বিশেষ সূত্রে জানা যায়, মানিক দিল্লি থেকে কলকাতায় ফেরেননি। তিনি রাজধানীতেই বঙ্গ ভবনে থাকছেন, সুপ্রিম কোর্টে তাঁর মামলাটির শুনানির জন্য।
খবর পেয়ে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা। দরজায় টোকা দিতে তাঁর দেখাও মেলে। কিন্তু ‘নিখোঁজ’ মানিক সংবাদমাধ্যমকে দেখে রেগে যান। তেড়েও আসেন। তবে কি নিখোঁজ হয়েই থাকতে চেয়েছিলেন টেট মামলায় অভিযুক্ত বিধায়ক? সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর মানিক জানিয়েছেন, তিনি তাঁর দিল্লিতে থাকার কথা এবং সিবিআই দফতরে হাজিরা না দিতে পারার কথা খোদ সিবিআইকেই জানিয়েছেন।