হাসপাতালে ক্যাথ ল্যাবের উদ্বোধন। — নিজস্ব চিত্র।
অবশেষে অপেক্ষার অবসান। এ বার থেকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে হবে হৃদ্রোগের চিকিৎসা। বুধবার ভার্চুয়ালি মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ক্যাথল্যাবের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর ফলে রেফারের সংখ্যা কমবে বলেই মনে করছেন চিকিৎসকরা।
মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের উপর নির্ভরশীল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা ছাড়াও পাশের জেলা পূর্ব মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, হুগলি এমনকি হাওড়ার বাসিন্দারা। কিন্তু এত দিন সেখানে ছিল না ক্যাথল্যাব। নয়া এই পরিষেবার ফলে উপকৃত হবে বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ। কারণ এত দিন তাঁদের এই ধরনের রোগের চিকিৎসার জন্য ভরসা ছিল কলকাতার হাসপাতাল বা নার্সিংহোম। তবে কয়েক বছর আগে মেদিনীপুরে এই ল্যাব তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রীর মেদিনীপুরের প্রশাসনিক সভায় বিষয়টি উত্থাপন করেছিলেন খড়্গপুরের বিধায়ক দীনেন রায়। এর পর বুধবার ওই হাসপাতালে ভার্চুয়ালি ক্যাথল্যাবের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। নতুন এই পরিষেবার ফলে অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি, অ্যাঞ্জিওগ্রাম করা এবং স্টেন্ট বা পেসমেকার বসানো যাবে ওই হাসপাতালেই।
এ নিয়ে মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ মৌসুমী নন্দী বলেন, ‘‘নতুন এই পরিষেবার ফলে হৃদ্রোগের ক্ষেত্রে উন্নতমানের পরিষেবা পাবেন রোগীরা। পশ্চিম মেদিনীপুর ছাড়াও পাশের জেলা পূর্ব মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, হুগলি, এমনকি হাওড়া জেলার মানুষও পাবেন এই পরিষেবা। ফলে কমবে রোগীদের রেফারের সংখ্যা।’’ পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদরি বলেন, ‘‘এত দিন এই পরিষেবা ছিল না। উন্নতমানের একটি ওয়ার্ড করা হয়েছে। সেখানে ১০টি বেডের মহিলা এবং পুরুষ ওয়ার্ড ছাড়াও ৬টি আইসিইউ শয্যা থাকছে।’’