—প্রতীকী চিত্র।
মৎস্যমন্ত্রীর আশ্বাস সত্ত্বেও কেটে গিয়েছে তিন মাস। তবু, মাছ ধরার জন্য সঠিক মানের জাল পাননি বলে অভিযোগ মৎস্যজীবীদের। যে ঠিকাদার সংস্থা নিম্নমানের জাল সরবরাহ করেছিল তার বিরুদ্ধেও মৎস্য দফতর কোনও পদক্ষেপ করেনি বলে অভিযোগ উঠেছে। সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে উন্নত মানের জাল দেওয়া দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন মৎস্যজীবীরা।
চলতি বছর ৮ আগস্ট কাঁথি মীন ভবনে মৎস্যজীবীদের বেহুন্দি জাল বিতরণের আয়োজন করা হয়। ৯৭ জন মৎস্যজীবীকে ডাকা হয়েছিল। গিয়েছিলেন রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী বিপ্লব রায়চৌধুরী। অভিযোগ, জাল ছিল অত্যন্ত নিম্নমানের। মৎস্যজীবীদের বিক্ষোভে জাল বিতরণ না করেই ফিরে যেতে হয়েছিল মন্ত্রীকে। তিনি নির্দেশ দিয়েছিলেন, দ্রুত সরকারি নির্দেশ মেনেই উপযুক্ত জাল মৎস্যজীবীদের দিতে হবে। পাশাপাশি যে ঠিকাদার সংস্থা ওই নিম্নমানের জাল সরবরাহ করেছে তাদেরকে কালো তালিকাভুক্ত করতে হবে। কারণ, সরকার কয়েক লক্ষ টাকা ব্যয় করে সেই জাল কিনেছিল। পূর্ব মেদিনীপুর মৎস্যজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক দেবাশিস শ্যামল বলছেন,"মৎস্য মন্ত্রীর নির্দেশ সত্বেও তিন মাস ধরে মাছ ধরার জাল পাওয়া যাচ্ছে না। গরিব মৎস্যজীবীরা বঞ্চিত হচ্ছেন। ১৫ দিনের মধ্যে যাতে সরকারি নির্দেশ মাফিক বেহুন্দি জাল দেওয়া হয় এবং ঠিকাদারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হয়, সেই দাবিতে আমরা মৎস্য মন্ত্রীকে স্মারকলিপি দিয়েছি।"
এই প্রসঙ্গে মৎস্য মন্ত্রী বিপ্লব রায়চৌধুরী বলেছেন,"নিয়ম মেনেই আবার নতুন করে জাল সরবরাহ করতে বলা হয়েছে। কোনওভাবেই নিম্নমানের জাল যাতে মৎস্যজীবীদের দেওয়া না হয়, সে বিষয়ে সকলকে সতর্ক করা হয়েছে।"
কাঁথি মহকুমা খটি মৎস্যজীবী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক গৌতম বেরার কথায়, ‘‘মৎস্য মন্ত্রীর নির্দেশ সত্ত্বেও ঠিকাদারেরা এখনও নিম্ন মানের জাল নিতে মৎস্যজীবীদের জোর করছেন।" সহ মৎস্য অধিকর্তা (সামুদ্রিক) জয়ন্ত কুমার প্রধান অবশ্য বলেন,"খুব দ্রুত জাল বিলি করা হবে।"