সভাস্থলে জেলা আধিকারিকরা। নিজস্ব চিত্র।
সোমবার মেদিনীপুর শহরের কলেজ মাঠে সভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারই প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে বৃহস্পতিবার সভাস্থল পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা। কলেজ মাঠ ও পুলিশ লাইন মাঠে হেলিকপ্টার ওঠা নামা করানো হয় পরীক্ষামূলক ভাবে। মুখ্যমন্ত্রীর সফর ঘিরে গোটা এলাকায় বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
মেদিনীপুর শহরের কলেজ ময়দানে যেখানে সভা হচ্ছে তার ঠিক পিছনের অংশেই অস্থায়ী হেলিপ্যাড তৈরি করা হচ্ছে। এছাড়াও বিকল্প হেলিপ্যাড হিসেবে পুলিশ লাইনের হেলিকপ্টার ওঠা নামার ব্যবস্থা থাকছে। মুখ্যমন্ত্রী যে রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করবেন সেগুলিতে এখন থেকেই কড়া পুলিশি নজরদারি চলছে।
মেদিনীপুর শহরে মুখ্যমন্ত্রীর এই সভা ঘিরে এমনিতেই রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়ছে। জোর তৎপরতা তৃণমূল নেতা কর্মীদের মধ্যে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অজিত মাইতি বলেছেন, “এই সমাবেশে দেড় লাখের বেশি মানুষ আসবেন।” ইতিমধ্যেই এই সভায় পূর্ব এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের সব তৃণমূল বিধায়কদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। তবে সভায় বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী উপস্থিত হবেন কি না তা নিয়ে জোর চর্চা চলছে।
রাজনৈতিক চর্চার পাশাপাশি সভা ঘিরে প্রস্তুতি চলছে জোর করদম। এক দিকে কলেজ মাঠে চলছে মূল মঞ্চ এবং দলীয় নেতা কর্মীদের বসার জন্য সামিয়ানা টাঙানোর কাজ। অন্য দিকে, চলছে দলের কর্মীদের নিয়ে মিটিং মিছিল। সোশ্যাল মিডিয়াতেও লাগাতার প্রচার চলছে। মুখ্যমন্ত্রীর কর্মসূচি পোস্টার লাগাতে দেখা যাচ্ছে দলের নেতাকর্মীদের থেকে শুরু করে মন্ত্রী বিধায়কদেরও।
জেলা সভাপতি অজিত মাইতির কথায়, 'বাংলাকে গুজরাট হতে দেব না' শ্লোগান নিয়ে দলের এই কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। রাজ্যের ৬টি জায়গায় এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হচ্ছে তার মধ্যে মেদিনীপুর একটি। মুখ্যমন্ত্রীর সভা ঘিরে দলীয় স্তরে সব রকম প্রস্তুতি সেরে ফেলার কাজ চলছে।