প্রতীকী ছবি।
পাড়ায় এসে প্রতিদিন মদের আসর বসাচ্ছে বেপাড়ার যুবকেরা। মদ্যপানের প্রতিবাদ করায় কয়েকজন যুবককে মারধরের অভিযোগ উঠল। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে খড়্গপুর শহরের ইন্দার আনন্দনগরে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, রবিবার স্থানীয় আনন্দনগরে একটি মাঠে বসেছিল মদের আসর। শহরের গোয়ালাপাড়া এলাকার জনা সাতেক যুবক ওই আসরে ছিলেন। সে সময়েই মাঠে হাজির হয়ে ঘটনার প্রতিবাদ করেন আনন্দনগরের বাসিন্দা অর্ণব গুহরায়, শিলাদিত্য মজুমদার ও দেবব্রত দে। অভিযোগ, এর পরেই ওই তিন যুবককে মারধর করে গোয়ালাপাড়ার ওই বাসিন্দারা। ঘটনায় জখম তিনজনকে নিয়ে যাওয়া হয় খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় খড়্গপুর টাউন থানার পুলিশ। ততক্ষণে পালিয়ে যায় ওই যুবকেরা। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে বাকি দু’জন কিছুটা সুস্থ হলেও অর্ণবের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় রাতেই মেদিনীপুর মেডিক্যালে রেফার করা হয়। তবে সোমবার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় অর্ণবকে কলকাতায় ‘রেফার’ করা হয়। এ দিন থানায় গিয়ে গোয়ালাপাড়ার বাসিন্দা রাকেশ গুপ্ত-সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন অর্ণবের পরিবার।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই বেপাড়ার যুবকদের আনাগোনার অভিযোগ তুলেছেন আনন্দনগরের বাসিন্দারা। লকডাউনের পর থেকে স্থানীয় মাঠে রাকেশ-সহ কয়েকজন যুবক নিয়মিত মদ্যপানের আসর বসাচ্ছিল বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। পাড়ার প্রবীণেরা আতঙ্কে ছিলেন। পুনেতে একটি হোটেলে উচ্চপদে কর্মরত অর্নব লকডাউনের জেরে বাড়িতে রয়েছেন। বিষয়টি জানতে পেরে রবিবার তিন বন্ধুর সঙ্গে মাঠে যান অর্ণব। সেই সময়ে মোটরবাইকের আলো ওই মদ্যপানের আসরে পড়তেই তেড়ে আসে গোয়ালাপাড়ার ওই যুবকেরা। তার পরেই বচসা থেকে শুরু হয় মারধর। অর্ণবের বাবা প্রলয়শঙ্কর বলেন, ‘‘ছেলেরা প্রতিবাদ করায় ইট দিয়ে ওঁর মাথা থেঁতলে দেওয়া হয়। আমি থানায় অভিযোগ জানিয়েছি।”
ঘটনায় দলমত নির্বিশেষে সরব হয়েছে এলাকাবাসী। পুলিশের সক্রিয়তার দাবি জানাচ্ছেন তাঁরা।” বিষয়টি নিয়ে খড়্গপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী সামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, “আমরা ঘটনায় নির্দিষ্ট মামলা রুজু করে কড়া পদক্ষেপ করছি। দুষ্কৃতীদের দ্রুত ধরা হবে।