কুনার হেমব্রম। —ফাইল চিত্র।
প্রয়াত হলেন ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রের প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ কুনার হেমব্রম। শনিবার সকালে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৬২ বছর। দীর্ঘ দিন কিডনির অসুখে ভুগছিলেন তিনি।
শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় গত রবিবার ঝাড়গ্রাম হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল কুনারকে। গত বৃহস্পতিবার তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। শনিবার সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। কুনারের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। কুনারকে যাঁরা কাছ থেকে দেখেছেন, তাঁরা জানিয়েছেন, স্বল্প সময়ের রাজনৈতিক জীবনে তিনি ছিলেন সদাহাস্যময় এবং মিতভাষী। পেশায় চিকিৎসক হলেও সাঁওতালি সাহিত্য রচনা এবং প্রকাশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন কুনার।
প্রয়াত সাংসদের ঘনিষ্ঠমহল সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার বিকেলে ঝাড়গ্রামের বাড়িতে এসে পৌঁছবে কুনারের দেহ। কুনারের প্রয়াণ-সংবাদ পেয়ে ঝাড়গ্রামের তৃণমূল সাংসদ কালীপদ সরেন বলেন, “খুবই বেদনাদায়ক খবর। কুনারের অকালমৃত্যুতে তাঁর পরিবার-পরিজনদের সমবেদনা জানাই।”
২০১৯ সালে ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রে জয়ী হয়ে লোকসভায় গিয়েছিলেন কুনার। চলতি বছরের লোকসভা নির্বাচনে তাঁকে আর টিকিট দেয়নি বিজেপি। গত ১৯ মে লোকসভা ভোটের আগে খড়্গপুরে নির্বাচনী জনসভা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই দিনেই ঝাড়গ্রামে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন কুনার।
তৃণমূলে যোগদানের কারণ ব্যাখ্যা করে কুনার বলেছিলেন, “‘হঠাৎ নয়। চিন্তাভাবনা ছিলই (তৃণমূলে যোগদানের)। জঙ্গলমহলে যে কাজ হয়েছে তৃণমূলের তরফে তথা রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে, সেটা যদি কম্পেয়ার (তুলনা) করেন কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে— তার কোনও তুলনা হয় না।’’ বিজেপির তরফে অভিযোগ তোলা হয়েছিল, টিকিট না পেয়েই দল ছেড়েছেন। সেই অভিযোগ অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছিলেন কুনার।