হাতির ডেরা বদলে ক্ষতি ধান, আনাজের

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, লক্ষ্মীপুজোর পরে পরেই ৭০ থেকে ৮০ টি হাতির একটি বড় দল খড়্গপুর হয়ে কংসাবতী নদী পেরিয়ে মেদিনীপুর সদর ব্লকের চাঁদড়া রেঞ্জের জঙ্গলে ঢুকেছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চন্দ্রকোনা রোড শেষ আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০১৯ ০২:০০
Share:

গুড়গুড়িপালে ক্ষতিগ্রস্ত ধান খেত। নিজস্ব চিত্র

মেদিনীপুর সদর ব্লক থেকে শালবনি হয়ে হাতির দল ডেরা বাঁধল চন্দ্রকোনা রোডের নয়াবসতের জঙ্গলে।

Advertisement

বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সন্ধ্যায় ৪৫ থেকে ৫০ টি হাতির একটি দল শালবনির পিড়াকাটা রেঞ্জ এলাকার জঙ্গল থেকে বেরিয়ে নয়াবসতের জঙ্গলে আসে। তাদের পরবর্তী অভিমুখ হল গোয়ালতোড়ের উখলার জঙ্গল হয়ে হুমগড়ের হদহদির জঙ্গল। বন দফতর বলছে, হাতিদের এই ডেরা বদল অস্বাভাবিক নয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, লক্ষ্মীপুজোর পরে পরেই ৭০ থেকে ৮০ টি হাতির একটি বড় দল খড়্গপুর হয়ে কংসাবতী নদী পেরিয়ে মেদিনীপুর সদর ব্লকের চাঁদড়া রেঞ্জের জঙ্গলে ঢুকেছিল। তখন সেই দলটি দু’ভাগ হয়ে শালবনি ব্লক এলাকার জঙ্গলে ঘাঁটি গেড়ে দাপিয়ে বেড়ায়। এখন মাঠে ধান পাকার সময়। আনাজের ফলনও ভাল হয়েছে। তাই জঙ্গল সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা ফসল বাঁচাতে দিনরাত জাগছেন। তবুও ক্ষতি আটকানো যায়নি। বিঘার পর বিঘা পাকা ধানের জমি তছনছ করে দিয়ে এ বার দাঁতালদের গন্তব্য গোয়ালতোড়।

Advertisement

বন দফতরের এক আধিকারিক জানান, ডেরা বদলের পথে হাতির দলটি চন্দ্রকোনা রোড ব্লকের হাসামারা, মাতালিয়া, চোরকুল, মঙ্গলপাড়া-সহ কয়েকটি মৌজায় দাপিয়ে বেড়িয়েছে। নষ্ট করে দিয়েছে জমির ধান, ফসল। মঙ্গলপাড়ার বাসিন্দা অভি কোলে বলেন, ‘‘হাতির দল চলে আসায় গ্রামের পর গ্রামের বাসিন্দারা সন্ধ্যা থেকেই হাতি খেদাতে বেরিয়ে পড়েন। দীপাবলির উৎসব ভুলে ফসল বাঁচাতে রাত জাগতে হচ্ছে।’’

বন দফতরের মেদিনীপুর ডিভিশনের এক আধিকারিক বলেন, মঙ্গলবার সকালে হাতিগুলি নয়াবসত রেঞ্জের ভাতুরবান্দি ও তিলাবুকা মৌজার জঙ্গলে ঢুকেছিল। দুপুরে জায়গা বদল করে বাঘাখুলির জঙ্গলে ঘাঁটি গেড়েছে। ডেরা বদলের পথে তারা মেদিনীপুর সদর ব্লকের গুড়গুড়িপাল-সহ অনেক এলাকায় জমির ধান, আনাজের খেত নষ্ট করেছে। ওই আধিকারিক জানান, নির্দিষ্ট পথে এগোলে হাতিগুলির পরের গন্তব্য হল গোয়ালতোড় ব্লকের উখলার জঙ্গল হয়ে হুমগড়ের হদহদির জঙ্গল। গোয়ালতোড়ের ওই এলাকাগুলি এখন বাঁদনা পরবে মেতে উঠেছে। সেই উৎসব যাতে মাটি না হয় তার জন্য সতর্ক রয়েছে বন দফতর।

মেদিনীপুর ডিভিশনের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘ক্ষয়ক্ষতির তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। নিয়ম মেনে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। এখন হাতিদের গতিবিধির উপর নজর রাখা হচ্ছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement