ভাইকে কুয়োয় ফেলে খুনে ধৃত দাদা

বাড়ির কুয়ো থেকেই দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় খড়্গপুর গ্রামীণ থানার পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০০:০৭
Share:

মদ্যপ অবস্থায় দাদা-ভাইয়ের গোলমাল। তার জেরে ভাইকে কুয়োয় ফেলে খুনের অভিযোগ উঠল দাদার বিরুদ্ধে। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে খড়্গপুর-১ নম্বর ব্লকের ভেটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের পোড়াপাড়া গ্রামে।

Advertisement

মৃত লালমোহন মাহাতো (৪০)-এর বাড়ি পোড়াপাড়া গ্রামেই। এ দিন বাড়ির কুয়ো থেকেই দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় খড়্গপুর গ্রামীণ থানার পুলিশ। ঘটনার পরেই গ্রামবাসীদের অভিযোগের ভিত্তিতে মৃতের দাদা মধু মাহাতোকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দুই ভাইয়ের অশান্তির জেরেই যে এই খুন পরিবারের তরফে তা স্বীকারও করে নেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে খবর, মদ্যপান করে মাঝেমধ্যেই দুই ভাই অশান্তিতে জড়ায়। শনিবার গ্রামে ফুটবল প্রতিযোগিতা ছিল। খেলা চলেছে রাত পর্যন্ত। সেখানেই দুই ভাই মদ্যপান করে। এ দিন সকালে বাড়ি ফিরে ফের দুই ভাই মদ্যপান করে। এর পরে লালমোহন বাড়ির গাছ থেকে লেবু পাড়ছিল। সেই সময় মধু ওই লেবু তার কাছে নিয়ে আসতে বলে। লালমোহন সেই লেবু নিয়ে যেতে অস্বীকার করলে শুরু হয় বচসা। হয় হাতাহাতিও। তার পরেই মধু উত্তেজিত হয়ে লালমোহনকে ধাক্কা মারে। তার পরেই কুয়োয় পড়ে যায় লালমোহন। স্থানীয় বাসিন্দা প্রবীর মাহাতো বলেন, “মদ্যপ অবস্থায় দুই ভাইয়ের গোলমাল চলাকালীন লালমোহনকে ধাক্কা মারে ওর দাদা। কুয়োর পাড়ে থাকা একটি পাথরে আঘাত লেগে মাথা ফাটে লালমোহনের। রক্ত দেখে মধু নিজেই লালমোহনকে পাশে কুয়োয় ফেলে দেয়।”

Advertisement

ঘটনার পরে পড়শিরা এসে চেষ্টা করলেও লালমোহনকে তুলতে পারেননি। পুলিশ এসে লালমোহনের দেহ উদ্ধার করে। ততক্ষণে অবশ্য বাড়ির ভিতরে গিয়ে শান্তভাবে বসে পড়ে মধু। এ দিন পড়শি এক যুবক ঘটনায় মধুর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে। তার পরেই পুলিশ মধুকে গ্রেফতার করে। অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement