দীর্ঘ আড়াই ঘণ্টার চেষ্টায় কিশোরের পেট থেকে ওই বল্লমটি বার করেন ঝাড়গ্রাম সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকেরা। —নিজস্ব চিত্র।
প্রায় সাড়ে চার ফুট লম্বা লোহার বল্লম। তা নিয়ে নাড়াচাড়া করতে গিয়ে দুর্ঘটনা। ১৫ বছরের কিশোরের পেটে ঢুকে গিয়েছিল বল্লমের ফলার অংশটি। বল্লমশুদ্ধ কিশোরকে তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ঝাড়গ্রাম হাসপাতালে। দীর্ঘ আড়াই ঘণ্টার অপারেশনের পর সেই ধাতব অস্ত্র বার করলেন চিকিৎসকেরা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার সকালে ঝাড়গ্রামের জামবনি থানার সতীঘাটা গ্রামে ১৫ বছরের এক কিশোর লোহার বল্লম নিয়ে খেলছিল। সেটি বিঁধে যায় তার তলপেটের বাম দিকে। যন্ত্রণায় চিৎকার শুরু করে সে। তড়িঘড়ি তাকে নিয়ে ঝাড়গ্রাম সরকারি মেডিক্যাল কলেজে যান পরিবারের সদস্যরা। চিকিৎসকেরা সঙ্গে সঙ্গে অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন। চিকিৎসক বিষ্ণুপদ দে, সুব্রত হাজরা এবং এক এনাস্থেটিসকে নিয়ে তৈরি হয় মেডিক্যাল দল। প্রায় আড়াই ঘন্টা ধরে জটিল অস্ত্রোপচারের পর তলপেট থেকে ওই বল্লম বার করেন চিকিৎসকেরা। আপাতত ওই কিশোর সুস্থ আছে বলে খবর।
এ নিয়ে চিকিৎসক সুব্রত হাজরা বলেন, ‘‘১৫ বছরের এক কিশোরের তলপেটের বাম দিকে একটি সাড়ে ৪ ফুট লম্বা লোহার বল্লমের তিরের ফলার কিছু অংশ ঢুকে ছিল। বল্লমটি তলপেট দিয়ে ঢুকে পিঠ পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিল। খাদ্যনালির দু’ একটি জায়গায় ফুটো হয়। তা ঠিক করা হয়েছে। দীর্ঘ আড়াই ঘন্টার অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে।’’
চিল্কিগড় বিদ্যাসাগর শিক্ষায়তন হাই স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ওই কিশোরের পরিবার চিকিৎসকদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন।