রাজভবনের কালো রেলিঙের গেটে লাল সাদা কাপড়ে নববর্ষের শুভেচ্ছা বার্তা টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে। দু’পাশে বাংলার পটচিত্র। প্রতীকী ছবি।
সাধারণের জন্য রাজভবনের দরজা খুলছে বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনে। রাজভবনের তরফে শুক্রবার এই ঘোষণা করে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। জানানো হয়েছে, সাধারণ মানুষকে স্বাগত জানাতে রাজভবন প্রস্তুত। শনিবার, পয়লা বৈশখেই এক নতুন এবং রঙিন রাজভবনের সাক্ষী হবেন বাংলার মানুষ।
কালো রেলিঙের আড়ালে ধবধবে সাদা প্রাসাদোপম রাজ্যপালের বাড়ি। সেখানে সাধারণ মানুষের প্রবেশিধাকারের ঘোষণা ২৯ মার্চ করেছিল রাজভবন। রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের উপস্থিতিতে দেশের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু রাজভবনের প্রতীকী চাবি তুলে দিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়ের হাতে। রাজ্যপাল বোস জানিয়েছিলেন, এখন থেকে রাজভবন ‘জন রাজভবন’। বাংলার রাজভবনের ভিতরে ও বাইরে হেঁটে ঘোরা যাবে। নাম হবে ‘হেরিটেজ ওয়াক’। ঔপনিবেশিক মানসিকতা বয়ে না বেড়িয়ে ‘রীতি’ ভাঙতেই রাজভবনে সাধারণ মানুষের প্রবেশাধিকার দেওয়া হল বলেও জানিয়েছিলেন বোস। তবে কবে থেকে তা চালু হবে, সে দিন তা জানানো হয়নি। শুক্রবার রাজভবনের তরফে বলে দেওয়া হয় বাংলা নববর্ষের সূচনাকেই এই শুভারম্ভের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ পয়লা বৈশাখ থেকেই রাজভবন হতে চলেছে ‘জন রাজভবন’।
ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে তার প্রস্তুতি। রাজভবনের কালো রেলিঙের গেটে লাল সাদা কাপড়ে নববর্ষের শুভেচ্ছা বার্তা টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে। দু’পাশে বাংলার পটচিত্র। তালপাতা দিয়ে বানানো লাল ফিতের ঝালর দেওয়া হাতপাখা আর গামছায় সম্পূর্ণ হয়েছে সাজ। রাজভবনের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে শনিবার সকাল ৭টায় দরজা খুলবে জন রাজভবনের। তার পরে এনসিসির সদস্যদের শান্তি দৌড়ে আর সাইকেল র্যালির সূচনা করবেন রাজ্যপাল বোস। তার পর দিন ভর চলবে অনুষ্ঠান। সকাল সাড়ে ১০টায় সূচনা হবে ‘হেরিটেজ ওয়াক’-এর। পরে বিকেল ৫টা থেকে নাচ-গান-আবৃত্তি-সহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন থাকবে রাজভবনে। বাংলার সংস্কৃতিকে উদ্যাপন করতে কলা ক্রান্তি মিশনের উদ্বোধন করা হবে। থাকবে রাজ্যপালের নিজস্ব ভাবনায় তৈরি ‘আনন্দ ধারা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানও। রাজভবন জানিয়েছে, সব মিলিয়ে বাংলার জন রাজভবন বাংলার নববর্ষকে সাড়ম্বরে স্বাগত জানাবে এ বছর।