প্লাবিত হয়েছে খেজুরির বিভিন্ন এলাকা। নিজস্ব চিত্র।
বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া গভীর নিম্নচাপের কারণে উত্তাল সমুদ্র। শুক্রবার রাতভর দিঘা উপকূলবর্তী বিভিন্ন অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। শুক্রবার রাতে প্রবল গতিবেগে বইতে থাকা হাওয়ার দাপট এবং বৃষ্টিপাতের জেরে জল ঢুকেছে খেজুরির নীচকসবা ও জনকা এলাকার বেশ কয়েকটি গ্রামে।
শনিবার সকাল থেকেও দিঘা উপকূলবর্তী এলাকার আকাশ ঘন কালো মেঘে ঢাকা পড়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন জায়গায় বেলা বাড়তেই শুরু হয়েছে বৃষ্টিপাত।
আবহাওয়া খারাপ থাকায় তিন দিনের ছুটিতে দিঘা ঘুরতে এসে কার্যত হোটেলবন্দি হয়ে পড়েছেন পর্যটকরা। সমুদ্র উত্তাল থাকায় সমুদ্রে স্নান করার বিষয়েও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। মৎস্যজীবীদেরও সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। পর্যটকদের সমুদ্রে নামা থেকে বিরত রাখতে মন্দারমণিতে মাইক নিয়ে প্রচারে নেমেছে পুলিশ।
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, শুক্রবার নবান্ন থেকে সতর্কতা জারি করার পরেই তড়িঘড়ি জেলায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর শনিবারও দিঘার আবহাওয়া খারাপ থাকবে। সেই কারণেই জেলার আপৎকালীন পরিস্থিতির জন্য পুলিশের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে শুক্রবার বিকেল দিঘা, মন্দারমণি, তাজপুর-সহ বিস্তীর্ণ সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে পরিদর্শনে আসেন ডিআইজি পশ্চিমাঞ্চল প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার অমরনাথ কে, কাঁথি মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সোমনাথ সাহা, মন্দারমণি উপকূল থানার ওসি অনুষ্কা মাইতি, দিঘা থানার ওসি বুদ্ধদেব মাল-সহ পুলিশ আধিকারিক।
প্রসূন বলেন, ‘‘সমস্ত অফিসার মিলে একটি টিম হিসাবে কাজ করছি। সবাইকে নির্দেশিকা মেনে কাজ করতে বলা হয়েছে৷ এই মুহূর্তে সমুদ্রস্নানে নামার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সবাইকে সতর্ক করা হয়েছে কেউ যাতে ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতিতে সমুদ্রে না নামেন। আমরা সতর্ক রয়েছি। আমি এবং পূর্ব মেদিনীপুর এসপি উপকূলবর্তী এলাকাগুলো পরিদর্শন করলাম। এই মুহূর্তে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী সমস্ত রকম পরিস্থিতির মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।’’