বরফে ঢাকা হিমাচল। ছবি: পিটিআই।
ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকেই উত্তর ভারত জুড়ে ঠান্ডার দাপট বেড়েছে। শৈত্যপ্রবাহের সতর্কতাও দিয়েছিল মৌসম ভবন। গত কয়েক দিন ধরেই হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড এবং জম্মু-কাশ্মীরে শৈত্যপ্রবাহের পরিস্থিতি চলছে। সেই সঙ্গে চলছে তুষারপাত এবং বৃষ্টি। আর দুর্যোগের জেরে সমস্যায় পড়েছেন পর্যটকেরা। বিশেষ করে হিমাচল প্রদেশে গত দু’দিন ধরে ভারী তুষারপাতের কারণে দুই শতাধিক রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বিভিন্ন রাস্তায় আটকে রয়েছেন পর্যটকেরা। আটকে রয়েছে বহু গাড়িও।
তিনটি জাতীয় সড়ক-সহ হিমাচলে ২২৬টি রাস্তা বন্ধ। তার মধ্যে শিমলায় ১২৩টি, লাহুল ও স্পিতিতে ৩৬, কুলুতে ২৫টি রাস্তা বন্ধ। ঠান্ডার কারণে ১৭৩টি ট্রান্সফর্মার বিকল হয়ে যাওয়ায় রাজ্য জুড়ে বিদ্যুৎ পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে। রাজ্যের আবহাওয়া দফতরের তথ্য অনুযায়ী, ভুন্তরে ৯.৭ মিলিমিটার তুষারপাত হয়েছে। রামপুরে ৯.৪ মিমি, শিমলায় ৮.৪, বজৌরায় ৮, সিয়োবাগে ৭.২, মানালিতে ৭, মন্ডীতে ৫.৪ মিমি বৃষ্টি হয়েছে।
শুক্রবার থেকে রবিবার পর্যন্ত রাজ্যের কিছু জায়গায় বিশেষ করে শিমলায় আবার নতুন করে তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। নতুন বছরেও তুষারপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। গত ২৪ ঘণ্টায় কোকসারে তুষারপাত হয়েছে ৫.৬ সেন্টিমিটার। খাদরালা এবং সিলারুতে ৫ সেমি, পুতে ২, সাংলায় ১.২, কেলং, গন্ডলা এবং জটে ১ সেমি তুষারপাত হয়েছে। তাবোতে তাপমাত্রা হিমাঙ্কের ১০ ডিগ্রি নীচে নেমে গিয়েছে। শৈত্যপ্রবাহ চলবে মন্ডী, মানালি, উনা, হামিরপুর, সুরেন্দ্রনগরে।