নিজস্ব চিত্র।
নিম্নচাপ ও কটাল— দুইয়ের জেরে বানভাসি দিঘা। বঙ্গোপসাগরে ঝোড়ো হাওয়ার দাপটে দিঘার সমুদ্রের ঢেউ আছড়ে পড়ল তটসংলগ্ন রাস্তায়। সৈকত সরণি পেরিয়ে সমুদ্রের নোনা জলে ডুবে গেল দিঘার রাস্তাঘাট। জল ঢুকেছে অন্তত ৩৫টি হোটেলে। প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, বুধবার গুরুপূর্ণিমার দিন থেকেই সমুদ্রের চেহারা বদলেছে। শুক্রবার তা আরও ভয়াবহ আকার নিয়েছে।
বৃহস্পতিবার থেকেই দিঘার সমুদ্রে নামার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। নজরদারির জন্য মোতায়েন রয়েছে নুলিয়া ও পুলিশ। জোয়ারের সময় কেউ যাতে সমুদ্রে নেমে পড়তে না পারেন সে জন্য প্রতিটি ঘাট দড়ি দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে।
জোয়ারের জলে এ ভাবে সৈকত শহর ভেসে যাওয়ার ঘটনা নজিরবিহীন বলেই মনে করছেন স্থানীয়েরা। এর আগে ইয়াসের সময় একই ভাবে সমুদ্রের জল ঢুকে দিঘা শহর ভেসে গিয়েছিল।
তবে এই মুহূর্তে দিঘায় আসা পর্যটকরা সমুদ্রের এই বিশালাকায় ঢেউ দেখে নিজেদের উচ্ছ্বাস চেপে রাখতে পারেননি। গত কয়েকটা দিন সমুদ্রের ভয়ানক চেহারায় জলে নামা না গেলেও সৈকত সরণিতে দাঁড়িয়ে বিশাল বিশাল ঢেউয়ে স্নান করতে দেখা গিয়েছে বহু পর্যটককেই। অনেককেই সমুদ্রের ভয়ানক চেহারা ফ্রেমবন্দি করতে দেখা গিয়েছে। সমুদ্রের জল রাস্তায় চলে আসায় অনেককে আবার সেই জলে নেমেই সাঁতার কেটেছেন। দিঘা থানা জানিয়েছে, শুক্রবার পর্যন্ত পর্যটকদের সমুদ্রে নামায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। শনিবার থেকে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে জোয়ারের সময় জলস্ফীতি হলে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও দিঘা থানা জানিয়েছে।
শুধু দিঘাই নয়, বঙ্গোপসাগরের জল ঢুকেছে তাজপুর, শঙ্করপুর-সহ পূর্ব মেদিনীপুরের সমুদ্র তীরবর্তী একাধিক গ্রামে। নষ্ট হয়েছে ফসল। বিভিন্ন জায়গায় বাড়ি ভাঙারও খবর পাওয়া যাচ্ছে। যে কোনও পরিস্থিতির জন্য প্রশাসন প্রস্তুত বলে রামনগর ব্লক প্রশাসন জানিয়েছে।