Dengue

মেদিনীপুরে আবার মৃত্যু ডেঙ্গি আক্রান্ত যুবকের, হাতুড়ে দিয়ে চিকিৎসা করানোর অভিযোগ

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ওই যুবকের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছিল। চিকিৎসকেরা চেষ্টা করেছিলেন। শেষরক্ষা হয়নি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২৩:৪৩
Share:

— প্রতীকী চিত্র।

মেদিনীপুরে মৃত্যু ডেঙ্গি আক্রান্ত এক যুবকের। যুবকের মৃত্যুর শংসাপত্রে ডেঙ্গির উল্লেখ রয়েছে। অভিযোগ, হাতুড়ে চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা করানো হয়েছিল যুবকের। মৃত্যুর পর ওই বেসরকারি হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখান মৃতের পরিজনেরা। মেদিনীপুর পুরসভার চেয়ারম্যানও আঙুল তুলেছেন বেসরকারি হাসপাতালের দিকেই।

Advertisement

মৃতের বাড়ি মেদিনীপুর শহরের ভুঁইয়া পাড়া এলাকায়। মেদিনীপুর শহরের রবীন্দ্রনগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে বৃহস্পতিবার ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। শুক্রবার দুপুরে মৃত্যু হয় যুবকের। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ওই যুবকের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছিল। চিকিৎসকেরা চেষ্টা করেছিলেন। জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌম্যশঙ্কর ষড়ঙ্গী বলেন, ‘‘মেদিনীপুরে ডেঙ্গিতে মৃত্যু হয়েছে এক যুবকের। বৃহস্পতিবার তিনি ভর্তি হয়েছিলেন শহরের একটি বেসরকারি নার্সিং হোমে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে। খবর নিয়ে জানা গিয়েছে, হাতুড়ে চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা করানো হয়েছিল।’’

মেদিনীপুর পুরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন খান বলেন, ‘‘পেটে আর পিঠে ব্যাথা নিয়ে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন যুবক। আগে জ্বর হয়েছিল। তবে পরীক্ষা করে রিপোর্টে ডেঙ্গি ধরা পড়েনি। বেসরকারি হাসপাতাল ডেঙ্গিতে মৃত্যুর রিপোর্ট দিয়েছে।’’ সৌমেন জানিয়েছেন, মৃতের বাবার ডেঙ্গির রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। পুরসভা থেকে প্রতিনিয়ত পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শরৎপল্লি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গেলেই পরীক্ষা করানোর ব্যবস্থা রয়েছে। বাড়ি বাড়ি সমীক্ষা করা হচ্ছে। মশারি ব্যবহারের কথা বলা হচ্ছে। মেদিনীপুর পুরসভায় ৮৪ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত।

Advertisement

গত ২ সেপ্টেম্বর ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছিল ৭৩ বছরের এক মহিলার। তাঁর বাড়ি মেদিনীপুর শহরের চিরিমারসাই এলাকায়। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় এখনও পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৭৪৪ জন। তাঁদের মধ্যে অনেকেই সুস্থ হয়েছেন। শুক্রবার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৪৪ জন। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে ২৮ জন, ঘাটাল হাসপাতালে আট জন, খড়্গপুর হাসপাতালে চার জন, ডেবরা হাসপাতালে তিন জন, শালবনি হাসপাতালে এক জন ভর্তি রয়েছেন। ক্রিটিক্যাল ইউনিটে তিন জন ভর্তি রয়েছেন। ঘটনার পরেই ওই বেসরকারি হাসপাতালে তদন্তে যান জেলা স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকেরা। শুক্রবার সন্ধ্যায় জেলাশাসক স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement