মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের মধ্যস্থতায় কাটল জট। গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।
টলিপাড়ায় ঠোকাঠুকি লেগেছিল দুই সংগঠনের। যার জেরে টলিউডের কাজে ব্যাঘাত ঘটার প্রভূত আশঙ্কা দেখা গিয়েছিল গত কয়েকদিনে। শেষ পর্যন্ত সমস্যার সমাধান করলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। শুক্রবার বিবদমান দুই সংগঠনকে বৈঠকে ডেকেছিলেন তিনি। সেই বৈঠকেই দুই সংগঠন তাদের সমস্যার সমাধান সূত্র খুঁজে পেয়েছে।
টলিপাড়ায় যে দুই সংগঠনের মধ্যে বিবাদ শুরু হয়েছিল তার একটির মাথায় রয়েছেন খোদ মন্ত্রী অরূপের ভাই স্বরূপ বিশ্বাস। ওই সংগঠনের নাম ফেডারেশন অফ সিনে টেকনিশিয়ান্স অ্যান্ড ওয়ার্কার্স অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়া। যা সাধারণত সিনে পাড়ায় ফেডারেশন বলেই পরিচিত। অন্য সংগঠনটি হল সিনে ভিডিয়ো অ্যান্ড স্টেজ সাপ্লায়ার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন। ভেন্ডার্স গিল্ড বলেও পরিচিত এরা।
ভেন্ডার্স গিল্ড সাধারণত টলিপাড়ার শুটিংয়ের প্রয়োজনীয় উপকরণ সরবরাহ করে থাকে। সেখানে প্রপ্স থেকে শুরু করে লাইট-সহ আরও অনেক কিছুই থাকে। সেই গিল্ডের অভিযোগ ছিল, ‘‘ফেডারেশন ও প্রডিউসাররা সাপ্লায়ার্সদের সঙ্গে বিভিন্ন ভাবে অসহযোগিতা করে যাচ্ছে। ফেডারেশনের কিছু সদস্য বেশ কিছু সাপ্লায়ারের উপর নিষেধাজ্ঞাও জারি করেছে।’’ ফেডারেশনের ওই সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতেই ভেন্ডার্স গিল্ড জানিয়েছিল, ‘‘এ রকম যদি চলতে থাকে, তা হলে গিল্ড হরতালের রাস্তায় যাবে।’’
তবে একই সঙ্গে গিল্ড এ-ও বলেছিল, এই সমস্যার সমাধান একটাই, যে সমস্ত সাপ্লায়ারকে ফেডারেশনের তরফে বা প্রযোজকদের তরফে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, তাঁদের কাছে লিখিত ভাবে ক্ষমা চাইতে হবে ফেডারেশনকে অথবা ওই প্রযোজকদের। যা শোনার পরও ফেডারেশনের তরফে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। এই পরিস্থিতিতেই সমস্যা মেটাতে আসেন মন্ত্রী অরূপ। টলিউডের বিভিন্ন সংগঠনের উপর রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপের প্রভাব এর আগেও দেখা গিয়েছে। অভিনেতা এবং টেকনিশিয়ানদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রয়েছে মন্ত্রীর। শুক্রবার তাঁর বৈঠকেই সমস্যার সমাধান হয়েছে বলে আনন্দবাজার অনলাইনকে জানিয়েছেন ভেন্ডর্স গিল্ডের সেক্রেটারি সৈকত দাস।
সৈকত জানিয়েছেন, মন্ত্রী অরূপ ওই বৈঠকে বলেন, সবাই সব কাজ করবে। কেউ কাউকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করবে না। যে হোয়াট্সঅ্যাপ গ্রুপে সাপ্লায়ারদের নিষিদ্ধ করার কথা লিখে জানানো হয়েছিল, সেখানেই আরও একটি বার্তা দিয়ে এই নিষিদ্ধ করার নির্দেশ প্রত্যাহারের কথাও বলতে হবে। এই সমাধানে দু’পক্ষই রাজি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভেন্ডার্স গিল্ডের সম্পাদক সৈকত। এই বৈঠকের পর কিছুটা হলেও স্বস্তির শ্বাস নিয়েছে সিনেপাড়ার বিভিন্ন মহল।