Cyclone Amphan

সঙ্গী দুর্ভোগ, সঙ্গে ক্ষোভও

আমপান কেটে যাওয়ার এতদিন পরেও শহর এলাকা ব্যতীত জেলার অধিকাংশ জায়গায় গ্রামাঞ্চল এখনও অন্ধকারে ডুবে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ৩০ মে ২০২০ ০১:৫০
Share:

প্রতীকী ছবি।

প্রয়োজন অনুযায়ী ত্রাণ না পাওয়ার অভিযোগে জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ অব্যাহত। আমপানে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত নন্দীগ্রাম, খেজুরি এলাকায় ত্রাণ নিয়ে দলবাজির অভিযোগও উঠেছে। নন্দীগ্রামে বিজেপির পক্ষ থেকে দেওয়া ত্রাণ নেওয়ায় দুর্গতদের মারধরের অভিযোগ যেমন উঠেছে, তেমনই ইদের দিন নন্দীগ্রামের বিধায়ক কথা রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রীর পাঠানো উপহার নিয়েও অশান্তির অভিযোগ ওঠে। শুক্রবার ত্রাণ নিয়ে রীজনীতি না করার ও অবিলম্বে বিদ্যুৎ সংযোগ ও পানীয় জল পরিষেবা স্বাভাবিক করার দাবিতে নন্দীগ্রাম-১ বিডিও অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখাল বিজেপি।

Advertisement

আমপান কেটে যাওয়ার এতদিন পরেও শহর এলাকা ব্যতীত জেলার অধিকাংশ জায়গায় গ্রামাঞ্চল এখনও অন্ধকারে ডুবে। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা খেজুরি এবং নন্দীগ্রামে। গত বুধবার ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে নন্দীগ্রাম-১ ব্লকে ৪,৫৩৯ টি এবং নন্দীগ্রাম-২ ব্লকে ২,১২৫টি বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়েছিল। দশদিন বাদেও ওই সব এলাকায় বিদ্যুতের খুঁটির অভাবে কাজ সম্পূর্ণ করা যায়নি বলে সংশ্লিষ্ট ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। খেজুরিতেও গোটা এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন। খেজুরি -১ ও ২ ব্লকে যথাক্রমে ১১০০ ও ৭০০টি বিদ্যুতের খুঁটি উপড়েছে। সেখানে ১০ শতাংশও বিদ্যুৎ চালু করা যায়নি। এলাকার বিধায়ক রণজিত মণ্ডলের দাবি, ‘‘এত বিদ্যুতের খুঁটি মিলছে না। কাজ হবে কী ভাবে। এলাকার মানুষ বিদ্যুৎ না পাওয়ায় অত্যন্ত অসুবিধায় দিন কাটাচ্ছেন। তবে প্রশাসনিক কাজের সুবিধার্থে আপাতত ব্লক এবং পঞ্চায়েত কার্যালয়গুলিতে বিদ্যুৎ সংযোগ চালুর জন্য জোর দিতে বলেছি।’’

একই পরিস্থিতি কাঁথি দেশপ্রাণ ব্লকে। সেখানেও হাইটেনশন তারের জন্য ২৮৬টি এবং লো-টেনশন তারের জন্য ২,৫৮৬ টি বিদ্যুতের খুঁটি প্রয়োজন। উপকূলবর্তী কাঁথি-১ ব্লকে প্রায় দেড় হাজার বিদ্যুতের খুটি ভেঙেছে। সংশ্লিষ্ট বিডিও লিপন তালুকদার বলেন, ‘‘চাহিদামত বিদ্যুতের খুঁটি পাওয়া যাচ্ছে না। গোটা এলাকায় পরিষেবা স্বাভাবিক করতে আরও সপ্তাহ খানেক লাগবে।’’

Advertisement

এ দিন নিজের ওয়ার্ডে ত্রিপল বিলি করতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন হলদিয়া পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। বাসিন্দাদের অভিযোগ, সুপার সাইক্লোন আছড়ে পড়ার পর আট দিন পেরিয়ে গিয়েছে। এতদিন পর যাও বা ত্রিপল এল তাও অপর্যাপ্ত। বহু মানুষের ত্রিপলের প্রয়োজন।

ঘূর্ণিঝড়ে বেহাল বিদ্যৎ নিয়ে বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘এক মাস আগে থেকে বিশেষজ্ঞরা ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কে সতর্ক করেছেন রাজ্য সরকারকে। তা সত্ত্বেও তারা যে প্রস্তুতি নিতে ব্যর্থ, তা এখন হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন মানুষ। ’’ এ ব্যাপারে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার রিজিওনাল ম্যানেজারের প্রতিক্রিয়া জানার জন্য ফোন করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি।

এই অবস্থায় তবে বিদ্যুৎ মিলবে তার অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন জেলার উপকূল এলাকার লক্ষ লক্ষ বাসিন্দা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement