Migrant Workers

প্রতিষেধক ছাড়াই ভিন্‌ রাজ্যমুখী পরিযায়ীরা

পরিযায়ীদের থেকেই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা সব থেকে বেশি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

পাঁশকুড়া শেষ আপডেট: ১৩ জুন ২০২১ ০৫:৪৩
Share:

ফাইল চিত্র।

বিধানসভা নির্বাচনের আগে পরিযায়ী শ্রমিকদের সুরক্ষা নিয়ে সরব ছিল প্রায় প্রতিটি রাজনৈতিক দল। ভোট মিটে গিয়েছে। পরিযায়ীদের নিয়ে আর কারও মুখে ‘রা’ নেই। এমনকী ‘সুপার স্প্রেডার’দের তালিকাভুক্তও নন পরিযায়ী শ্রমিকরা!

Advertisement

পরিযায়ী শ্রমিকদের দাবি, জেলার অধিকাংশ পরিযায়ী শ্রমিক এখনও করোনার টিকা পাননি। এর মধ্যেই সংক্রমণ কিছুটা কমতেই ফের ভিন্‌ রাজ্যে পাড়ি জমাতে শুরু করেছেন পরিযায়ীরা।

পরিযায়ী শ্রমিক সমিতির দাবি, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে জেলায় বেশ কয়েকজন পরিযায়ী শ্রমিক মারা গিয়েছেন। রাজ্য সরকার সমাজের একাধিক পেশার মানুষজনকে 'সুপার স্প্রেডার'-এর তালিকাভুক্ত করলেও সেই তালিকায় নেই পরিযায়ীরা। অথচ পরিযায়ীদের থেকেই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা সব থেকে বেশি।

Advertisement

পরিযায়ী শ্রমিক সমিতির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, পূর্ব মেদিনীপুরে পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় একলক্ষ। গত বছর লকডাউনের সময় জেলায় ফিরে আসে প্রায় ৭০ হাজার পরিযায়ী শ্রমিক। ভিন্‌ রাজ্যে কাজের বাজারে মন্দা নেমে আসায় প্রায় ২০ হাজার পরিযায়ী শ্রমিক আর ভিনরাজ্যে না গিয়ে জেলাতেই থেকে যান। বাকি ৫০ হাজার পরিযায়ী আনলক পর্বে ফিরে যান ভিন্‌ রাজ্যে নিজের নিজের কাজের জায়গায়। প্রতি বছর বোরো চাষ ওঠার আগে পরিযায়ীদের একটা অংশ জেলায় ফিরে আসেন ফসল ঘরে তোলার জন্য। বিধানসভা নির্বাচনের আগে জেলায় ফিরে আসে প্রায় ৫ হাজার পরিযায়ী শ্রমিক। দেশজুড়ে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ মারাত্মক আকার নেওয়ার পর ভিন রাজ্য থেকে আরও প্রায় ২০ হাজার পরিযায়ী শ্রমিক জেলায় ফিরে আসে বলে খবর।

গত বছর লকডাউনের সময় রাজ্য সরকার 'স্নেহের পরশ' প্রকল্পের মাধ্যমে পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরার জন্য এক হাজার টাকা করে দিলেও এবার কোনও ধরনেরই আর্থিক সহায়তা জোটেনি বলে অভিযোগ। অন্য রাজ্যে কেন্দ্রীয় 'গরীব কল্যাণ যোজনা' চালু হলেও এ রাজ্যে তা চালু হয়নি বলে অভিযোগ। সরকারের কাছে বারবার আবেদন জানিয়েও পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য মেলেনি কোনও আর্থিক সাহায্য এবং টিকা। ফলে বহু শ্রমিককেই টিকা ছাড়াই রুজির সন্ধানে ফের ভিন্‌ রাজ্যে যেতে হচ্ছে বলে অভিযোগ। পরিযায়ী শ্রমিক সমিতির উপদেষ্টা নারায়ণচন্দ্র নায়ক বলেন, ‘‘পরিযায়ী শ্রমিকদের সুপার স্প্রেডারদের তালিকাভুক্তও করা হয়নি। টিকাকরণ না হলেও আর্থিক সঙ্কট কাটাতে পরিযায়ী শ্রমিকরা বাধ্য হচ্ছেন ভিনরাজ্যে ফিরে যেতে।’’

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘পরিযায়ীদের জন্য আগে বেশ কিছু কাজ করা হয়েছে। যখন যেমন সরককরা হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement