Coronavirus in West Bengal

দুই সদ্যোজাত সংক্রমিত

সদ্যোজাত শিশুর শরীরে করোনার যে ধরনের উপসর্গ রয়েছে, তাতে তাজ্জব চিকিৎসকেরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পাঁশকুড়া শেষ আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০২০ ০১:১০
Share:

প্রতীকী ছবি।

সপ্তাহ কয়েক আগেই জেলার এক মাসের শিশুর করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছিল। এবার পূর্ব মেদিনীপুরের আরও দুই একরত্তি শিশুর শরীরের মিলল করোনা ভাইরাস। করোনা রিপোর্ট পজ়িটিভ আসার সময়ে একজনের বয়স ছিল ছ’দিন। অন্য জন ছিল ১২ দিনের। দু’জনেই কোলাঘাটের একটি বেসরকারি শিশু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

Advertisement

হাসপাতাল সূত্রের খবর, গত ২০ ডিসেম্বর ভগবানপুর এলাকার এক মহিলা শিশুপুত্রের জন্ম দেন চণ্ডীপুরের এক নার্সিংহোমে। জন্মের সময় তার ওজন ছিল এক কিলোগ্রাম ১০০ গ্রাম। জন্মের পর থেকেই শিশুর শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। ২৬ ডিসেম্বর কোলাঘাটের হাসপাতালে তাকে ভর্তি করেন পরিজন। রাখা হয় ভেন্টিলেশনে। চিদেখা যায়, শিশুটির ফসফুসের বাঁ’দিকের অংশে নিউমোনিয়া হয়েছে। ডান দিকের অংশ নিউমোথোরাক্স আক্রান্ত হয়ে ফেটে গিয়েছে। কৃত্রিম শ্বাসযন্ত্রের সাহায্যে শিশুটিকে বাঁচিয়ে রেখে চলে চিকিৎসা। এর মধ্যেই তার করোনা ধরা পড়ে। অন্যদিকে, গত ২৫ ডিসেম্বর হলদিয়ার একটি ১২ দিনের দিনের শিশু হৃদরোগে আক্রান্ত হয়। পরদিন তাঁকে কোলাঘাটের ওই শিশু হাসপাতালে আনা হয়। তারও করোনা পজ়িটিভ রিপোর্ট এসেছে। ওই শিশুকেও ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে।

সদ্যোজাত শিশুর শরীরে করোনার যে ধরনের উপসর্গ রয়েছে, তাতে তাজ্জব চিকিৎসকেরা। হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ প্রবীর ভৌমিক বলেন, ‘‘শিশু দুটির ফুসফুস এবং হৃদপিণ্ড যেভাবে আক্রান্ত হয়েছিল, তা সচরাচর দেখা যায় না। রোগের কারণ খুঁজতে গিয়ে আমরা শিশু দুটির কোভিড পরীক্ষা করি। তাতে করোনা ধরা পড়ে।’’ এভাবে শিশুর আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা সামনে আসায়, এ নিয়ে গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরেরা। এ ব্যাপারে ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেলথের প্রফেসর ডিরেক্টর অপূর্ব ঘোষ বলেন, ‘‘শিশুদের মধ্যে করোনা সংক্রমণের হার খুবই কম। যে দুটি অল্প বয়সী শিশুর শরীরে করোনার জীবাণু মিলছে, তা রাজ্যের মধ্যে বিরল বলা চলে। কীভাবে শিশু দুটির শরীরের কোভিডের জীবাণু এল তা অনুসন্ধান করে দেখা দরকার। ’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement