প্রতীকী ছবি।
উপসর্গ থাকায় করোনা আক্রান্তকে বড়মা হাসপাতালে পাঠাতে উদ্যোগী হয়েছিল স্বাস্থ্য দফতর। অভিযোগ, তাতে রাজি হয়নি আক্রান্তের পরিবার। গৃহ পর্যবেক্ষণে রেখেই চিকিৎসা করাতে উদ্যোগী হয়েছেলেন তাঁরা। শনিবার ভোরে বাড়িতেই মৃত্যু হল সংক্রমিতের।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, পটাশপুর-১ ব্লকের গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বছর চল্লিশের এক ব্যক্তি কয়েকদিন ধরে সর্দি এবং জ্বরে ভুগছিলেন। গত ২৭ অগস্ট গোনাড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে তাঁর করোনা পরীক্ষা করানো হয়। তার রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে। উপর্সগ থাকায় বৃহস্পতিবারই ব্যক্তিকে বড়মা করোনা হাসপাতালে ভর্তি করাতে উদ্যোগী হয় পটাশপুর-১ ব্লক স্বাস্থ্য দফতর। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য বাড়িতে পৌঁছে যায় অ্যাম্বুল্যান্স। অভিযোগ, হাসপাতালে যেতে বেঁকে বসেন আক্রান্ত এবং তাঁর পরিজন। বুঝিয়েও লাভ না হওযায় স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরা ফিরে যান।
মৃতের পরিবার সূত্রের খবর, ওই দিন থেকে বাড়িতেই আইশোলেসনে থাকছিলেন তিনি। তবে শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে তাঁর শারীরিক অসুস্থতা বাড়ে। এ দিন ভোরে ওই ব্যক্তি মারা যান। তবে করোনা আক্রান্ত মৃতদেহ দাহ করতে গ্রামবাসীদের বাধার মুখে পড়তে হয়নি প্রশাসনকে। পঞ্চায়েত, স্বাস্থ্য দফতর এবং পুলিশের উদ্যোগে গ্রামের সর্বদলীয় আলোচনা হয় এবং স্বাস্থ্য দফতরের নজরদারিতে মৃতদেহের অন্ত্যেষ্টি করা হয়।
গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান প্রভুরাম দাস বলেন, ‘‘গ্রামবাসী নিয়ে আলোচনা করে দেহ একটি ফাঁকা জায়গায় দাহ করা হয়।’’ পটাশপুর-১ এর বিএমওএইচ শুভদীপ বাগ বলেন, ‘‘ওই করোনা আক্রান্তকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও, তিনি রাজি হননি। বাড়িতেই তার মৃত্যু হয়েছে। করোনা বিধি মেনে মৃতদেহের অন্ত্যেষ্টি করা হয়েছে।’’