Coronavirus

করোনা যুদ্ধের সাজ-সরঞ্জাম কিনতে কমিটি

সূত্রের খবর, সাত সদস্যের ওই কমিটি ছাড়পত্র দিলে তবেই চিকিৎসা সরঞ্জাম কেনার বরাত দেওয়া হচ্ছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২০ ০৭:৫১
Share:

সচেতন: মেদিনীপুর মেডিক্যাল চত্বরে জীবাণুনাশক স্প্রে করল দমকল। মঙ্গলবার বিকেলে। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল

করোনার সঙ্গে লড়তে চিকিৎসা সরঞ্জাম চাই। প্রায় প্রতিদিনই বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা সরঞ্জাম চেয়ে আর্জি আসছে জেলায়। সেই আর্জি খতিয়ে দেখতে জেলাস্তরে একটি কমিটি তৈরি হয়েছে। করোনা সংক্রান্ত জেলাস্তরের টাস্ক ফোর্সের চেয়ারম্যান তথা জেলাশাসক রশ্মি কমলের নির্দেশেই ওই কমিটি হয়েছে বলে প্রশাসনের এক সূত্রে খবর।

Advertisement

সূত্রের খবর, সাত সদস্যের ওই কমিটি ছাড়পত্র দিলে তবেই চিকিৎসা সরঞ্জাম কেনার বরাত দেওয়া হচ্ছে। সাত সদস্যের ওই কমিটির চেয়ারম্যান হলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক উত্তম অধিকারী, ভাইস- চেয়ারম্যান অতিরিক্ত জেলাশাসক সৌর মণ্ডল। কনভেনর জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (সিএমওএইচ) গিরীশচন্দ্র বেরা। সদস্য হিসেবে রয়েছেন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ পঞ্চানন কুণ্ডু, জেলার উপ- মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌম্যশঙ্কর সারেঙ্গী, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার তন্ময়কান্তি পাঁজা এবং জেলার পরিকল্পনা ও উন্নয়ন আধিকারিক অয়ন নাথ।

জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র মানছেন, ‘‘এই কমিটি হওয়ায় সমন্বয় রেখে কাজ করতে সুবিধে হচ্ছে।’’

Advertisement

বস্তুত, এখনও পশ্চিম মেদিনীপুরে করোনা মোকাবিলার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের অভাব রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। চলতি মাসের শুরুর দিকে বরাত দিয়েও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম মিলছিল না। পরে অবশ্য সেই সমস্যা মিটেছে। মেদিনীপুরে দু’টি করোনা হাসপাতাল ও জেলার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল, মহকুমা হাসপাতালগুলিতে পৃথক আইসোলেশন ওয়ার্ড চালু হয়েছে। জেলার স্বাস্থ্যভবনের এক সূত্রের দাবি, ওই সব হাসপাতালে পার্সোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই), এন- ৯৫ মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার পাঠানো হয়েছে।

জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, ‘‘যথেষ্ট সংখ্যক সরঞ্জাম জেলায় রয়েছে। যেখানে যেখানে দরকার হচ্ছে, পাঠাচ্ছি।’’ ওই কমিটির এক সদস্যের কথায়, ‘‘এখন প্রায় প্রতিদিনই এটা-ওটার প্রয়োজন হচ্ছে। নানা সমস্যাও হচ্ছে। কমিটির বৈঠকে সে সব নিয়ে আলোচনা করে পদক্ষেপ করা হয়।’’

সূত্রের খবর, এখন রাজ্য থেকে সরাসরি কিছু সরঞ্জাম জেলার স্বাস্থ্যভবনে আসছে। জেলার এক স্বাস্থ্য আধিকারিকের কথায়, ‘‘হাসপাতালের সকলে যদি পিপিই চান, তাহলে তো মুশকিল। যাঁদের প্রয়োজন তাঁদের দেওয়া হচ্ছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement