চন্দ্রকোনা থেকে আনা আলু নামানো হচ্ছে। সোমবার। নিজস্ব চিত্র
আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া এলাকায় আলু নিয়ে রীতিমত গোলমাল বেধেছে। আর সেই নিরিখে নজিরবিহীন পদক্ষেপ করল মহিষাদলের ইটামগরা-২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত। এলাকার মানুষ যাতে সঠিক দামে আলু কিনতে পারেন তার ব্যবস্থা করল স্থানীয় পঞ্চায়েত। পঞ্চায়েতের তরফে এই কাজে স্বসহায়ক দলকে কাজে লাগানো হয়েছে।
স্থানীয় বঙ্গীয় গ্রামীণ বিকাশ ব্যাঙ্ক থেকে আর্থিক সাহায্য নিয়ে এ দিন স্বসহায়ক দলের সদস্যরা পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনায় পৌঁছে যান। সেখানে সরাসরি মাঠ থেকে আলু কিনে ট্রাকে করে গ্রাম পঞ্চায়েত অফসে নিয়ে আসেন। পঞ্চায়েত প্রধান শম্পা কাঁপ, উপপ্রধান রামকৃষ্ণ দাসের উদ্যোগে এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। রামকৃষ্ণ বলেন, ‘‘শুধু আমাদের গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা নয়, আশপাশের গ্রাম লক্ষ্যা-১ ও লক্ষ্যা-২, গড়কমলপুর এমনকী হলদিয়া ব্লকের বাড় উত্তর হিংলি গ্রামেও আমরা আলু সরবরাহ করছি।’’
পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথম দফায় ২৭০ কুইন্টাল আলু আনা হয়েছে। দ্বিতীয় দফায় আরও ৩০০ কুইন্টল আলু আনা হয়েছে। ওই আলু আপৎকালীন সময়ে দেওয়া হবে। উপপ্রধান জানান, পঞ্চায়েত অফিসেই ওই আলু এনে রাখা হয়েছে। গ্রামবাসীদের এই আলু ১০ কিলোগ্রাম পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছে ১৫ টাকা কেজি দরে।
স্থানীয় একটি স্বেচ্ছাসেবী গোষ্ঠীর তরফে মীনাক্ষী পাল দাস, সন্ধ্যারানি দাস বলেন, ‘‘আমরা এই আলু বিলি করতে সাহায়্য করছি। স্থানীয় ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ আমাদের সাহায্য করেছেন।’’ এদিন লাইনে দাঁড়িয়ে আলু নিচ্ছিলেন শান্তনু চক্রবর্তী, সন্দীপ জানা, কল্যাণী মণ্ডল। তাঁরা জানান, বাড়িতে বয়স্ক মানুষ রয়েছে। তাই চাইলেও আলুর মতো দরকারি জিনিস কিনতে সব সময় বেরোনো সম্ভব নয়। তাই পঞ্চায়েতের এই উদ্যোগ খুবই কাজে লেগেছে।
পঞ্চায়েতের কর্মীরা জানান, পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনায় গিয়ে আলু সস্তাতেই কেনা গিয়েছে। প্রধান, উপপ্রধানও গিয়েছিলেন।