Environment

নারকেলেও নাকি ক্ষতি!

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর নভেম্বর থেকে শুরু হয়ে পরবর্তী কয়েক মাস ধরে পূর্ব মেদিনীপুরে সাদা মাছির দাপট চলে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পাঁশকুড়া শেষ আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২০ ০০:৩৯
Share:

প্রতীকী ছবি

গত বছর থেকে জেলায় শুরু হয়েছে ‘রুগোস স্পাইরাল হোয়াইট ফ্লাই’ বা সাদা মাছির উপদ্রব। যার জেরে নারকেল গাছে শুরু হয়েছে মড়ক। বিদেশি সাদা মাছির আক্রমণে নারকেল গাছের পাতা সাদা হয়ে যাচ্ছে। জেলায় এই ঘটনা নতুন না হলেও এক শ্রেণির মানুষ এটিকে করোনা ভাইরাসের আক্রমণ বলে প্রচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ। ফলে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। অবিলম্বে স্থানীয় মানুষের মধ্যে করোনা নিয়ে সচেতনতা প্রচারের জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি বিজ্ঞান মঞ্চের।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর নভেম্বর থেকে শুরু হয়ে পরবর্তী কয়েক মাস ধরে পূর্ব মেদিনীপুরে সাদা মাছির দাপট চলে। বর্ষার সময় বন্ধ ছিল সংক্রমণ। বর্ষার পর ফের নতুন করে শুরু হয়েছে নারকেল গাছে সাদা মাছির আক্রমণ। নারকেল গাছের পাশাপাশি আনাজেও এই সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে। কৃষি দফতর সূত্রে খবর, গত বছর থেকে জেলায় যে সাদা মাছির আক্রমণ শুরু হয়েছে তার নাম আরএসডব্লিউ বা রুগোস স্পাইরাল হোয়াইট ফ্লাই। এর উৎসস্থল মধ্য আমেরিকা। আমাদের দেশের সাদা মাছির থেকে আকৃতিতে কিছুটা বড় নতুন এই সাদা মাছি। এরা সাধারণত উষ্ণ-আর্দ্র পরিবেশে দ্রুত বংশবিস্তার করে। পূর্ব মেদিনীপুরের আবহাওয়া এই মাছির বেঁচে থাকা ও বংশ বিস্তারের পক্ষে অনুকূল। কৃষি বিজ্ঞানীদের ধারণা, বিদেশ থেকে যে সমস্ত নারকেল চারা এদেশে আমদানি করা হয়, তার সঙ্গে এই মাছির ডিম এ দেশে চলে আসতে পারে। এই মাছির আক্রমণে প্রথমেই নারকেল গাছের পাতা সাদা হয়ে যায়। তারপর পাতাগুলি ধীরে ধীরে কালো হয়ে গাছ মরে যায়।

অভিযোগ, সম্প্রতি সাদা মাছির এই আক্রমণকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বলে প্রচার চালাচ্ছে এক শ্রেণির মানুষ। সমাজ মাধ্যমেও এই নিয়ে চর্চা চলছে। ফলে রাস্তা-ঘাট, বাজারে এই নিয়ে আলোচনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। কোলাঘাট দেড়িয়াচক গ্রামের শিক্ষক কার্তিক সাহু বলেন, ‘‘নারকেল গাছে সাদা মাছির আক্রমণকে এক শ্রেণির মানুষ করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বলে প্রচার চালাচ্ছেন। এর ফলে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। অবিলম্বে এই ধরনের প্রচার বন্ধ হওয়া দরকার।’’

Advertisement

এই ধরনের গুজবের কথা শুনেছেন জেলার ‘ব্রেক থ্রু সায়েন্স সোসাইটি’ র সদস্যরাও। সংস্থার জেলা সম্পাদক সুমন্ত শী বলেন, ‘‘বিষয়টি আমাদেরও নজরে এসেছে। গুজবের জেরে সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় প্রভাব পড়ছে। করোনা নিয়ে যে সমস্ত সতর্কতা পালন করতে বলা হয়েছে তা মেনে চললে করোনা এড়ানো সম্ভব। এই বিষয়ে শীঘ্রই আমরা জেলা জুড়ে প্রচার অভিযানে নামব।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement