বাড়ির বাইরে বসানো জলের মিটার।
প্রতি বছর গরমে কাঁথি শহরে দেখা দেয় জল সঙ্কট। অভিযোগ, শহরবাসীর যথেচ্ছ অপচয়ে ওই জলকষ্ট দেখা দেয়। সমস্যার সমাধানে কড়া পদক্ষেপ করতে চলেছে কাঁথি পুরসভা। বাড়ি বাড়ি পানীয় জলের মিটার বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে ওই মিটার বসানোর কাজও শুরু হয়েছে।
পুরসভা সূত্রের খবর, একাধিক ওয়ার্ডে বাড়ি বাড়ি পানীয় জলের মিটার বসানোর প্রক্রিয়া প্রায় শেষ পর্বে। ধাপে ধাপে ২১টি ওয়ার্ডেই ওই কাজ করা হবে। তবে একটি পরিবার সর্বোচ্চ কত পরিমাণ জল ব্যবহার করতে পারবে, সে ব্যাপারে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। কাউন্সিলরেরা বৈঠক করে বাসিন্দাদের সর্বোচ্চ কত পরিমাণ জল দেওয়া হবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। এপ্রিল মাসে কাঁথিতে পুরভোট হতে চলেছে। তার আগে জলের মিটার বসানোর কাজ শেষ করা হবে বলে পুরসভা সূত্রে জানানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, কয়েক বছর ধরে মার্চ মাস থেকেই গরম পড়ায় গ্রামীণ এলাকার পাশাপাশি কাঁথির শহর এলাকাতে জলের সঙ্কট দেখা দিচ্ছে। এর মোকাবিলায় কয়েক বছর আগে সজল ধারা প্রকল্প চালু করে পুরসভা। কিন্তু সচেতনতার অভাবে শহরবাসীর একাংশ জলের যথেচ্ছ ব্যবহার এবং অপচয় করছে বলে পুর কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ আসছিল। এমনকী, পানীয় জলের ট্যাঙ্ক থেকে জল উপচে নষ্ট হওয়ার ঘটনাও নজরে আসে। জলের এ হেন অপচয় বন্ধ করতেই মিটার বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুরসভার বোর্ড অফ কাউন্সিল।
পুর কর্তৃপক্ষের দাবি, গৃহস্থের বাড়িতে পানীয় জল সরবরাহের জন্য যে মিটার লাগানো থাকবে, সেখানে ওই পরিবার কতটা পরিমাণ জল ব্যবহার করছেন তা দেখা যাবে। জল ব্যবহারের সর্বোচ্চ সীমা লঙ্ঘন করা হচ্ছে কিনা সে ব্যাপারেও নিয়মিত খোঁজ নেওয়া হবে প্রযুক্তির মাধ্যমে। পুরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘পানীয় জলের ব্যবহার সম্পর্কে বাসিন্দাদের শুধুমাত্র সচেতন করতে মিটার লাগানো হচ্ছে। তবে অতিরিক্ত জল ব্যবহারকারীদের কোনও কর কিংবা অর্থ দিতে হবে না।’’