গ্রামাঞ্চলে বিরোধীদের উপর হামলায় অভিযুক্ত শাসকদল। আর সেই শাসক দলই সৌজন্য দেখাচ্ছে শহরে। তৃণমূল নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে দখল হয়ে যাওয়া পার্টি অফিস ফেরত পাচ্ছে সিপিএম।
এই দুই ছবি পশ্চিম মেদিনীপুরের। খোদ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, সবাইকে শান্তি রক্ষা করতে হবে। কিন্তু তারপরেও একের পর এক এলাকায় বিরোধীদের উপরে হামলা, দলীয় অফিস ভাঙচুরের মতো ঘটনা ঘটছে। মঙ্গলবার ভোরেও কেশপুরের আমড়াকুচির চৌকিঘাটে তৃণমূলের লোকজন তাণ্ডব চালিয়েছে বলে অভিযোগ। আদিবাসী অধ্যুষিত এই এলাকায় একের পর এক বাড়িতে লুঠপাটের জেরে বহু মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন। কেশপুরের সিপিএম নেতা এন্তাজ আলি বলেন, “পরিকল্পনামাফিক চৌকিঘাটে হামলা চালানো হয়েছে।” তৃণমূলের জেলা সভাপতি দীনেন রায় অবশ্য বলেন, “কেশপুরে কী হয়েছে ঠিক জানি না। তবে তৃণমূল সব সময় শান্তির পক্ষে।”
শহর মেদিনীপুরে অবশ্য উল্টো ছবি। সিপিএমের জেলা নেতৃত্ব ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছেন, হিংসা দমনে প্রয়োজনে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলা যেতেই পারে। সেই মতো তৃণমূল কাউন্সিলর নির্মাল্য চক্রবর্তীর সঙ্গে কথা বলে কুইকোটার বাউরিপাড়ার শাখা কার্যালয়ের দখল ফিরে পেয়েছিল সিপিএম। এ বার শহরের আরও তিনটি শাখা কার্যালয়ের দখল ফিরে পেয়েছে তারা। ভোটের ফলপ্রকাশের পরই প্রমোদনগর, টাউন কলোনি এবং ঈশ্বরপুরের শাখা কার্যালয় তৃণমূলের লোকজন দখল করে নেয় বলে অভিযোগ করেছিল সিপিএম। পরে এলাকার সিপিএম কাউন্সিলর কাজলমণি মুর্মু স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলেন। এরপরই বরফ গলে। সিপিএমের শহর জোনাল সম্পাদক সারদা চক্রবর্তী বলেন, “স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব সহযোগিতা করেছেন। এলাকার একাধিক ক্লাবও উদ্যোগী হয়। আমরা চাই, এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা বজায় থাকুক।”