দলনেত্রীর নির্দেশে কর্মসূচিতেও কোন্দল

শনিবার রাজ্যের সব বিধানসভার মতো কেশিয়াড়িতেও জাতীয় নাগরিক পঞ্জি ও নতুন নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে অবস্থান করে তৃণমূল।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন 

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০১৯ ০০:০৬
Share:

কেশিয়াড়িতে গাঁধীমূর্তির সামনে তৃণমূলের অবস্থান। নিজস্ব চিত্র

দলনেত্রীর ঘোষিত কর্মসূচি পালনেও কোন্দল ঘুচল না কেশিয়াড়ি ব্লক তৃণমূলের।

Advertisement

শনিবার রাজ্যের সব বিধানসভার মতো কেশিয়াড়িতেও জাতীয় নাগরিক পঞ্জি ও নতুন নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে অবস্থান করে তৃণমূল। কেশিয়াড়ি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সেই কর্মসূচিতে প্রাক্তন ব্লক সভাপতি জগদীশ দাশ, পবিত্র শীট, স্থানীয় নেতা ফটিক পাহাড়ি, জেলা পরিষদ সদস্যা মামণি মাণ্ডি, কল্পনা শীট-সহ অনেককেই দেখা যায়নি। যাঁরা ছিলেন না তাঁদের দাবি, এই কর্মসূচি নিয়ে কিছু জানানো হয়নি। সম্প্রতি কেশিয়াড়িতে সভাপতি বদল করেছে তৃণমূল। পবিত্র শীটের জায়গায় দায়িত্বে আসেন অশোক রাউত। তবে নেতাদের কয়েকজন না এলেও এদিন কেশিয়াড়িতে বিজেপি থেকে কয়েকজন তৃণমূলে যোগ দেন। অশোকের দাবি, ‘‘বহু মানুষ এদিন কর্মসূচিতে এসেছেন। নেতৃত্ব নয় মানুষ বড়। একসঙ্গে হয়ে কাজ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’’ এদিন নারায়ণগড়, বেলদা, দাঁতন, পিংলা বিধানসভাতেও কর্মসূচি হয়। সবংয়ের অর্জুনতলায় যুব তৃণমূলের কর্মসূচিতে ছিলেন সাংসদ মানস ভুঁইয়া। পিংলা ও মাদপুরে ছিলেন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র।

এদিন চন্দ্রকোনা রোডে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে চৌরাস্তা মোড়ে মঞ্চ করে মাইক বেঁধে অবস্থান হয়। চন্দ্রকোনা রোডে এদিন বিকেলে প্রতিবাদ মিছিল করে যুব তৃণমূল। গড়বেতার নতুনহাটেও মঞ্চ বেঁধে অবস্থান করে তৃণমূল। বিকেলে গড়বেতা বিধানসভা কেন্দ্রের পিয়াশালা ও জোগারডাঙা অঞ্চলেও মিছিল হয়। ঘাটাল মহকুমার ঘাটাল, চন্দ্রকোনা ও দাসপুরেও অবস্থান বিক্ষোভ হয়। এদিন ঘাটাল শহরের কলেজ মোড় লাগোয়া ট্যাক্সি স্ট্যান্ডে মঞ্চ তৈরি হয়। দাসপুর বিধানসভা কেন্দ্রে অবস্থান হয় সোনাখালি বাজারে। আজ রবিবারও দাসপুর শহরে বিক্ষোভ দেখানো হবে বলে তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে। অবস্থান হয় চন্দ্রকোনার গোঁসাইবাজারেও।

Advertisement

মেদিনীপুর, কেশপুর, শালবনিতেও অবস্থান হয়। কেশপুরে এদিন মিছিলও করেছেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, ‘‘সংবিধানকে রক্ষা করতেই জেলার সব বিধানসভায় আমাদের অবস্থান-বিক্ষোভ কর্মসূচি হয়েছে।’’ ‘আমরা কারা, নাগরিক’, ‘সিএএ, এনআরসি মানছি না, মানব না’— এদিনের অবস্থান মঞ্চ থেকে এমন স্লোগানই শোনা গিয়েছে। অজিত বলেন, ‘‘আমি নিজে পাঁচটি এলাকার কর্মসূচিতে গিয়েছি। দলের এই কর্মসূচিতে অনেক সাধারণ নাগরিকও সামিল হয়েছেন বলে দেখেছি।’’

ঝাড়গ্রাম জেলার চারটি বিধানসভা এলাকাতেই অবস্থান কর্মসূচি করে তৃণমূল। এদিন ঝাড়গ্রাম শহরের পাঁচমাথা মোড়ে অবস্থান হয়। জামবনি ব্লকের গিধনি, ঝাড়গ্রামের লোধাশুলি, গোপীবল্লভপুরের হাতিবাড়ি মোড়, বেলিয়াবেড়া ব্লকের গোয়ালমারা এলাকায় অবস্থান হয়। ঝাড়গ্রাম ব্লকের দুধকুণ্ডি অঞ্চলে মিছিল করে যুব তৃণমূল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement