দু’সপ্তাহ পরে গণধর্ষণের নালিশ

সপ্তাহ দু’য়েক আগে হাউর স্টেশনের অদূরে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল এক স্কুল ছাত্রীকে। ওই ঘটনায় গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করলেন নির্যাতিতার বাবা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পাঁশকুড়া শেষ আপডেট: ০৩ জানুয়ারি ২০২০ ০০:৩৩
Share:

প্রতীকী ছবি

সপ্তাহ দু’য়েক আগে হাউর স্টেশনের অদূরে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল এক স্কুল ছাত্রীকে। ওই ঘটনায় গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করলেন নির্যাতিতার বাবা। অভিযুক্ত ধরা না পড়ায় সরব হয়েছে আদিবাসী সংগঠন ভারত জাকাত মাঝি পরগনা।

Advertisement

হাউর এলাকার দশম শ্রেণির ওই ছাত্রীর সঙ্গে কেশাপাট এলাকার ডালপাড়া গ্রামের বাসিন্দা উত্তম মুর্মু নামে এক ব্যক্তির সম্পর্ক ছিল বলে পরিবার সূত্রের খবর। কিন্তু উত্তমের আগে দু’বার বিয়ে হওয়ায় সেই সম্পর্ক মেনে নেয়নি ছাত্রীটির পরিবার। ছাত্রীর বাবার দাবি, গত ১৮ ডিসেম্বর দুপুরে ওই ছাত্রী বাড়িতে একাই ছিল। তাঁরা বাড়ি ফিরে আর মেয়েকে খুঁজে পাননি। পরের দিন সকালে হাউর স্টেশনের অদূরে এরাপুর এলাকায় রেল লাইনের ধারে প্রায় অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার হয় ওই ছাত্রীকে। তার মাথায়, মুখে গভীর চোট ছিল। ভাঙা ছিল দুই হাতের কয়েকটি আঙুলও।

নির্যাতিতাকে প্রথমে পাঁশকুড়া সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে তমলুক জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে সে সেখানেই চিকিৎসাধীন। ২০ ডিসেম্বর ওই ছাত্রীর পরিবার উত্তম মুর্মুর নামে পাঁশকুড়া থানায় অপহরণের মামলা দায়ের করেছিল।

Advertisement

নির্যাতিতার বাবা বলেন, ‘‘ওই সময় আমার মেয়ে ভাল করে কথা বলতে পারেনি। জ্ঞান ফিরে আসার পরে ও জানিয়েছে, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সেদিন উত্তম এবং লক্ষ্মীকান্ত হাঁসদা নামে দুই যুবক ওকে জোর করে ঘর থেকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল। কিছুটা দূরে একটি নির্জন ঘরে তাকে তিনজন ধর্ষণ করে। সেদিন উত্তমের সঙ্গে মোট ছজন ছিল বলে মেয়ে জানিয়েছে।’’ ওই ব্যক্তির আরও অভিযোগ, উত্তমেরা ধর্ষণের পর তাঁর মেয়েকে খুন করতে চেয়েছিল। সে জন্য মাথায় ও চোখের গোড়ায় পাথর এবং ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে।

এ দিন পাঁশকুড়া থানায় উত্তম, লক্ষ্মণ-সহ ছ’জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সরব ভারত জাকাত মাঝি পরগনা। সংগঠনের প্রায় ৫০ জন সদস্য এদিন পাঁশকুড়া থানায় যান। দেখা করেন পাঁশকুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিকের সঙ্গে। সংগঠনের পাঁশকুড়া ব্লকের নেতা স্নেহাশিস হেমব্রম বলেন, ‘‘গত ২০ ডিসেম্বর অপহরণের মামলা দায়ের হলেও পুলিশ অভিযুক্তকে ধরেনি। নতুন করে গণধর্ষণের মামলা দায়ের হয়েছে। পুলিশের কাছে দাবি অভিযুক্তদের ধরে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক। তা না হলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।’’

এসডিপিও (তমলুক) অতীশ বিশ্বাস বলেন, ‘‘এর আগে এই ঘটনায় অপহরণের মামলা দায়ের হয়েছিল। যদি ওই ছাত্রীর পরিবার গণধর্ষণের অভিযোগ করেন সে ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ করা হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement