মেদিনীপুর কলেজ মাঠে হেলিপ্যাড গ্রাউন্ড ছাড়াও শহরে আরও দু’টি জায়গায় হেলিপ্যাড আছে। সেগুলিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। —নিজস্ব চিত্র।
বাজেট অধিবেশন শেষ করেই জঙ্গলমহলে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দু’দিনের সফরে বৃহস্পতিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি মেদিনীপুর কলেজ মাঠে সরকারি অনুষ্ঠান রয়েছে তাঁর। বুধবার বিকেলে হেলিকপ্টার না কি সড়কপথে পশ্চিম মেদিনীপুরে আসবেন, তা স্পষ্ট নয়। বুধবার চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।
সরকারি সূত্রে খবর, বুধবার রাতে সার্কিট হাউসে থাকার কথা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতার। পাশাপাশি, গড়বেতার গনগনি পার্কে রাত্রিবাসের ব্যবস্থাও রাখা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠান শেষে পুরুলিয়া, সেখান থেকে বাঁকুড়া যাওয়ার কর্মসূচি রয়েছে। দু’জায়গাতেই সভা রয়েছে তাঁর।
মেদিনীপুর কলেজ মাঠে হেলিপ্যাড গ্রাউন্ড ছাড়াও শহরে আরও দু’টি জায়গায় হেলিপ্যাড আছে। সেগুলিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। শেষ বেলার প্রস্তুতি চলছে অনুষ্ঠানস্থলেও। প্রশাসনিক আধিকারিক এবং শাসকদলের জনপ্রতিনিধিরা ঘুরে দেখছেন সভাস্থল। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে ৪৫টি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। তা ছাড়া ৫১টি প্রকল্পের শিলান্যাস হবে। সভামঞ্চ থেকে ৬৫ জন উপভোক্তার হাতে বিভিন্ন রকম সরকারি পরিষেবা ও সামগ্রী তুলে দেওয়ার কথা মুখ্যমন্ত্রীর। এ ছাড়াও জেলার ব্লক অফিসগুলো থেকে ১ লক্ষ ৮ হাজার ৫৪১ জন উপভোক্তা এই পরিষেবা পাবেন।
মুখ্যমন্ত্রী নাকি মঞ্চে ছবি আঁকতেও পারেন। সেজন্য রং, তুলি এবং বোর্ডের ব্যবস্থা করে রাখা হয়েছে মঞ্চে। পশ্চিম মেদিনীপুরের তৃণমূলের জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি অজিত মাইতি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসছেন। তার প্রস্তুতি চলছে।’’ তিনি জেলা প্রশাসন সূত্রকে উদ্ধৃত করে জানান, ৮০০-র বেশি বাসে করে উপভোক্তাদের সভাস্থলে নিয়ে আসা হবে। শহরের বিভিন্ন প্রান্তে বাস ও ছোট গাড়ি রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
অন্য দিকে, মুখ্যমন্ত্রীর সফরের ঠিক আগেই জাতীয় সড়ক এবং রেল অবরোধ শুরু করেছে ভারত জাকাত মাঝি পরগনা মহল। মেদিনীপুর-আদ্রা ডিভিশনের এই রেল অবরোধের জেরে ইতিমধ্যে সমস্যায় পড়ছেন নিত্যযাত্রীরা।