প্রতীকী ছবি।
ব্রিটেন ফেরত কলকাতার একজনের শরীরে করোনার নতুন স্ট্রেন বা প্রজাতির হদিস মেলার পরই নড়েচড়ে বসেছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে জেলাগুলিকে সতর্ক করা হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, বুধবারই রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমের দফতর থেকে চিঠি এসেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক রশ্মি কমলের দফতরে। চিঠি এসেছে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিমাইচন্দ্র মণ্ডলের দফতরেও। এই সময়ে জেলার কী করণীয় তা জানানো হয়েছে ওই চিঠিতে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বৈঠকে বসছেন জেলার স্বাস্থ্যকর্তারাও।
পশ্চিম মেদিনীপুরে করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছিল। এখন মাত্র ৯ জন সক্রিয় করোনা রোগী হাসপাতালে রয়েছেন। শালবনি কোভিড হাসপাতালে ৬ জন ও ঘাটাল কোভিড হাসপাতালে ৩ জন। কিন্তু জেলায় করোনার নতুন স্ট্রেনের হদিস মিললে পরিস্থিতি ফের জটিল হতে পারে বলে আশঙ্কা। প্রশাসন সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিদেশ ফেরত একাধিকজনের করোনা পরীক্ষা হয়েছে। তবে তাঁরা কেউই সংক্রমিত নন। জেলাশাসক তথা করোনা মোকাবিলায় গঠিত জেলাস্তরের টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান রশ্মি কমল বলেন, ‘‘জেলায় করোনা পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। সাবধানতার প্রয়োজন রয়েছে। তবে এ নিয়ে অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।’’ জেলার উপ-মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌম্যশঙ্কর সারেঙ্গী বলেন, ‘‘জেলার কারও শরীরেই নতুন প্রজাতির ভাইরাসের জীবাণুর উপস্থিতি ধরা পড়েনি। ফলে, অহেতুক উদ্বেগের কিছু নেই।’’
জেলায় ব্রিটেন ফেরত কেউ রয়েছেন কি না খোঁজখবর শুরু হয়েছে। গত এক মাসে যাঁরা ব্রিটেন থেকে এসেছেন, তাঁদের করোনা পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, এ ক্ষেত্রে বাড়ি গিয়ে লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করাতে হবে আরটিপিসিআরে। ‘ডিস্ট্রিক্ট সার্ভেল্যান্স টিম’-কেও সক্রিয় হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। জানানো হয়েছে, ব্রিটেন ফেরতের শারীরিক অবস্থার খোঁজ রাখতে হবে। কোনও উপসর্গ দেখা দিলে আইসোলেশনে রাখতে হবে। সম্প্রতি ব্রিটেন থেকে ফিরেছেন, জেলায় এমন কারও খোঁজ মেলেনি বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। তবে আমেরিকা ফেরত তিনজনের খোঁজ মিলেছে। সকলেরই করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ। রাজ্যের নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, ব্রিটেন ফেরত কেউ করোনায় সংক্রমিত হলে, তাঁর সংস্পর্শে যাঁরা এসেছেন, তাঁদের সকলের করোনা পরীক্ষা করতে হবে।