বোমাবাজিতে জখম ব্যক্তি। —নিজস্ব চিত্র।
বিজেপি-র ঘরোয়া বৈঠক চলাকালীন বোমাবাজি এবং হামলার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। শনিবার রাতে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবংয়ের এই ঘটনায় বেশ কয়েক জন জখম হয়েছেন। বোমাবাজির অভিযোগ উঠলেও এ বিষয়ে মন্তব্য করতে নারাজ স্থানীয় প্রশাসন। তবে এই ঘটনায় উত্তপ্ত হল সবং।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার সন্ধ্যার পর সবংয়ের ভেমুয়া এলাকায় স্থানীয় বিজেপি নেতা শিবু পণ্ডার বাড়িতে দলের লোকজনদের নিয়ে বৈঠক শুরু হয়। ওই বৈঠরে ১০ নম্বর ভেমুয়া অঞ্চলের প্রায় ১৫-২০ জন বিজেপি নেতা-কর্মী হাজির ছিলেন। বিজেপি-র অভিযোগ, বৈঠক চলাকালীন ওই এলাকায় স্লোগান দিতে থাকেন তৃণমূলের লোকজন। তার প্রতিবাদ করে বিজেপি। অভিযোগ, বৈঠক চলাকালীনই বাইরে থেকে বোমাবাজি করতে শুরু করে দুষ্কৃতীরা। বোমার আঘাতে ৫-৬ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তার মধ্যে মহিলা কর্মীও রয়েছেন। বোমাবাজির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ বাহিনী।
এই ঘটনায় তৃণমূলের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপি-র। দলের ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অন্তরা ভট্টাচার্যের দাবি, ‘‘এক দলীয় কর্মীর বাড়িতে মিটিং চলাকালীন বোমাবাজি করেছে তৃণমূল। তাতে কয়েক জন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।’’
তৃণমূল থেকে সদ্য বিজেপি-তে যোগ দেওয়া সবংয়ের অমূল্য মাইতির দাবি, ‘‘তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা হামলা চালিয়েছে। বোমাবাজি করেছে। বেশ কয়েকটি বাইকও ভাঙচুর করা হয়েছে।’’ যদিও বিজেপি-র অভিযোগ নস্যা়ৎ করেছে শাসকদল। তৃণমূল ব্লক সভাপতি অমল পণ্ডা বলেন, ‘‘দলের মিটিং সেরে মেদিনীপুর থেকে সবংয়ে ফিরছিলাম। সে সময় শুনলাম, কিছু একটা গন্ডগোল হয়েছে। পুলিশকে বলেছি বিষয়টি দেখার জন্য। তবে বিজেপি যে অভিযোগ করছে, তা ঠিক নয়। তৃণমূল কোনও ভাবেই ওই ঘটনায় জড়িত নয়।’’
শনিবার বোমাবাজির পর ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।