ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে দেহগুলি। নিজস্ব চিত্র
ট্রলার ডুবিতে নিখোঁজ থাকা ৩ মৎস্যজীবীর দেহ ২ দিনের মাথায় উদ্ধার করল বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ)। নন্দীগ্রামের কেন্দেমারি গঙ্গামেলা ঘাটে নোঙর ফেলেছিল ওই ট্রলারটি। শনিবার রাতে মৎস্যজীবীদের খাওয়াদাওয়ার সময় আচমকাই জোয়ারের জলের তোড়ে উল্টে যায় ‘মা করুণাময়ী’ নামের ওই ট্রলারটি। ট্রলার ডুবিতে কেবিন-বন্দি হয়ে মারা যান চালক। তবে ১১ জন মৎস্যজীবী সেই সময় সাঁতরে পাড়ে চলে আসেন। তার পর থেকে ৩ জনের খোঁজ মিলছিল না। রবিবার থেকে মৎস্যজীবীদের তল্লাশিতে নামে পুলিশ এবং এনডিআরএফ। সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় মৎস্যজীবীরাও।
সোমবার ২ মৎস্যজীবীর দেহ উদ্ধার হয় ঘটনাস্থল থেকে বেশ কয়েক কিলোমিটার দূরে নন্দীগ্রামের জেলিংহাম লাগোয়া এলাকা থেকে। মৃত ওই মৎস্যজীবীদের নাম রূপেশ খাঁড়া (২০) এবং কাশীনাথ শিট (৪২)। তাঁদের দু’জনেরই বাড়ি কাঁথি থানা এলাকায়। পরে নয়াচর থেকে উদ্ধার হয় আর এক মৎস্যজীবী বিষ্টুপদ মাইতির দেহ। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, জোয়ারের জলের ধাক্কায় ট্রলারটি দুলতে শুরু করে। ফলে তার তলার অংশ জলের নীচে থাকা বালির চরে আটকে যায়। সে কারণেই সেটি জলে উল্টে যায়।
মৃতদেহগুলিকে ময়নাতদন্তের পর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে নন্দীগ্রাম থানা জানিয়েছে। গত ১৫ এপ্রিল থেকে সোমবার অর্থাৎ ১৪ জুন পর্যন্ত সমূদ্রে মৎস্য শিকারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সেই নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলে মঙ্গলবার অর্থাৎ ১৫ জুন থেকে ফের সমুদ্রে রওনা দেবে মৎস্যজীবীদের ট্রলার। তার আগে এমন দুর্ঘটনায় শোকের ছায়া।