—ফাইল চিত্র।
খাতায়-কলমে আসন মাত্র একটি। তবে তার সৌজন্যেই হলদিয়া বন্দরে ‘ডক ইনস্টিটিউট’-এর ভোটে প্রথম খাতা খুলল গেরুয়া শিবির। তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন অবশ্য সর্বোচ্চ আসনই পেয়েছে।
শনিবার বিকেল আনুষ্ঠানিকভাবে ফল ঘোষণার পরে দেখা যায়, ১৮ আসনের মধ্যে ৯টি আসন পেয়েছে আইএনটিটিইউসি। সিটু পেয়েছে ৮টি আসন। ভারতীয় মজদুর সঙ্ঘের ঝুলিতে গিয়েছে একটি আসন। ২০০৯ সাল থেকে টানা ডক ইনস্টিটিউট ছিল আইএনটিটিইউসি-র দখলে। মাঝে ২০১৭ সালে শাসক দলের দুই শিবিরের কোন্দলের জেরে ১০টি আসন পেয়ে বোর্ড দখল করেছিল সিটু।
রাজ্যে এ বার লোকসভা ভোটে বিজেপির উত্থান হয়েছে। ১৮টি আসন পেয়েছে পদ্ম-শিবির। পূর্ব মেদিনীপুরে কোনও লোকসভা আসন না পেলেও ভোট বেড়েছে বিজেপির। এ বার বন্দরের ভোটে গেরুয়া শিবিরের খাতা খোলা তৃণমূল নেতৃত্বকে চিন্তায় রাখবে বলেই রাজনৈতিক মহলের ধারণা।
বন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, ডক ইনস্টিটিউট’-এর ১৮টি আসনে ভোটগ্রহণ হয় শুক্রবার। মোট ১,৩২৪ জন ভোটারের মধ্যে ১,২১৪ জন ভোট দেন। বন্দরে তৃণমূলপন্থী দুই শ্রমিক সংগঠনের সদস্য সংখ্যা ৬৫০, সিটুর সদস্য ২৯০ জন। এসইউসি-র ১৭৬ এবং বিএমএসের সদস্য রয়েছেন ৬২জন। ফল প্রকাশের পরে দেখা যায়, বিএমএস এর বেশ কয়েকজন প্রার্থী দুশোর বেশি ভোট পেয়েছেন। আর তাদের একমাত্র জয়ী সদস্য প্রদীপকুমার বিজলি পেয়েছেন ৪১৬টি ভোট। সিটু এবং তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের একাংশের সমর্থন গেরুয়া শিবিরে গিয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
এ দিকে ভোটের ফলে স্পষ্ট তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের একার পক্ষে বোর্ড গঠন সহজ হবে না। বিএমএসের জয়ী সদস্য প্রদীপ বিজলি বলছেন, ‘‘আমরা সিটুকে সমর্থন করব।’’ তাহলে তো বোর্ড ত্রিশঙ্কু হচ্ছে? সরাসরি জবাব এড়িয়ে তৃণমূলপন্থী কলকাতা ‘পোর্ট ট্রাস্ট পার্মানেন্ট এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন’ এর সম্পাদক দেবাশিস চক্রবর্তী বলেন, ‘‘সংখ্যা গরিষ্ঠতা পাওয়ায় আমরা অত্যন্ত খুশি। আর গেরুয়া শিবিরের ভোটপ্রাপ্তির বিষয়টি উচ্চ নেতৃত্ব পর্যালোচনা করে দেখবেন।’’
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।