দিলীপ ঘোষ, বিজেপি রাজ্য সভাপতি। —ফাইল চিত্র
দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ মেদিনীপুরের সাংসদ। আর বিজেপির সদস্য সংগ্রহ অভিযানে সেই মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলাই রাজ্যের মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছে। এই তথ্য সামনে রেখে বিজেপির মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি শমিত দাশের দাবি, ‘‘রাজ্যের মধ্যে আমরাই ফার্স্ট!’’ তবে পশ্চিম মেদিনীপুরের অন্তর্গত বিজেপির আরেক সাংগঠনিক জেলা ঘাটাল তুলনায় কিছুটা পিছিয়ে। তবে তারাও লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করে ফেলেছে বলে দলীয় সূত্রের দাবি।
বিজেপি সূত্রে খবর, রাজ্য থেকে মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলাকে ৪ লক্ষ ২ হাজার জনকে দলীয় সদস্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। সেই লক্ষ্যমাত্রা পেরিয়ে ইতিমধ্যেই ৬ লক্ষ ৪৮ হাজার ২২০ জন সদস্য সংগ্রহ করে ফেলেছে এই জেলা। শমিত বলেন, ‘‘জেলার প্রতিটি মানুষের কাছে পৌঁছনোই আমাদের লক্ষ্য।’’ অন্যদিকে ঘাটাল সাংগঠনিক জেলায় এখনও পর্যন্ত ৩ লক্ষ ৪০ হাজার সদস্য সংগ্রহ হয়েছে। যেখানে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ লক্ষ ২০ হাজার। বিজেপির ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সভানেত্রী অন্তরা ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘সদস্যতা অভিযানে আরও জোর দেওয়া হচ্ছে।’’
জেলা বিজেপির এক নেতা জানান, সদস্য সংগ্রহের নিরিখে রাজ্যের মধ্যে মেদিনীপুরের পরে পরে রয়েছে নদিয়া, মালদহ, বারাসত, ঘাটাল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা (পশ্চিম), আলিপুরদুয়ার, তমলুক, উত্তর দিনাজপুর প্রভৃতি জেলা। মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার মধ্যে ৮টি বিধানসভা কেন্দ্র রয়েছে। সদস্যতা অভিযানের দায়িত্বে থাকা বিজেপির অন্যতম জেলা সম্পাদক সোমনাথ দে জানান, পুরো জেলায় সবমিলিয়ে ৭ লক্ষ ফর্ম বিলি করা হয়েছে। ৬ লক্ষ ৪৮ হাজার ২২০টি ফর্মপূরণ হয়ে জেলায় পৌঁছে গিয়েছে।
কোথায় কত
দাঁতন ৯৭,৪০০
কেশিয়াড়ি ৯৫,৩০০
মেদিনীপুর ৯৫,২০০
গড়বেতা ৮৮,৯০০
শালবনি ৭৫,৩৭০
নারায়ণগড় ৭২,৫৫০
খড়্গপুর (সদর) ৬২,৪০০
খড়্গপুর ৬১,১০০
(হিসেব বিধানসভা কেন্দ্র পিছু)
২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে বাংলায় দু’টি আসন পাওয়ার পরেও বাংলায় সদস্য অভিযানে নজর দিয়েছিল পদ্ম- শিবির। সে বার মিসড কলের মাধ্যমে সদস্য সংগ্রহ হয়েছিল। পরে বিজেপি নেতৃত্বই স্বীকার করেন যে, মিসড কল দিয়ে সদস্য হয়েছেন, এমন অনেককে বাস্তবে খুঁজেই পাওয়া যায়নি। এ বার ছাপানো ফর্মে সদস্য সংগ্রহ করছে বিজেপি। সদস্যদের দিয়ে হাতেকলমে ফর্মফিলাপও করানো হয়েছে। তবে বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল। দলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি অজিত মাইতির খোঁচা, ‘‘আমি শুনেছিলাম, মিসড কলে গতবারও অনেকে বিজেপির সদস্য হয়েছিলেন। পরে সেই সদস্যদের অনেককে না কি খুঁজে পাওয়া যায়নি! দেখুন এ বার কী হয়!’’