প্রথমে তৃণমূলের জনসংযোগ (বাঁ দিকে)। তারপর হাজির বিজেপি-র দল (ডান দিকে)। নিজস্ব চিত্র
তৃণমূলের ব্লক সভাপতি ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি সেরে যাওয়ার পরই নয়া নাগরিকত্ব আইনের সপক্ষে প্রচার চালাল বিজেপি।
শনিবার বেলদা ২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার দেউলি, নবোদয় পল্লি ও শুশিন্দা এলাকায় তৃণমূলের দিদিকে বলো কর্মসূচি ছিল। ব্লক সভাপতি মিহির চন্দ এ দিন প্রথমে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক আশিস মণ্ডলের কাছে যান। অভাব-অভিযোগ শোনেন। তাঁরা চলে আসার খানিক পরেই বিজেপির পক্ষ থেকে ওই চিকিৎসকের কাছে পৌঁছে যান দেউলি এলাকার বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্য ও নেতা-কর্মীরা। কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন নাগরিকত্ব আইনের পক্ষে প্রচার চালান তাঁরা। দেওয়া হয় আইনের খুঁটিনাটি সম্বলিত লিফলেটও। শুক্রবার ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিতে বেলদার ছোটমাতকাতপুরের বাসিন্দা চিকিৎসক যোগেন বেরার সঙ্গে দেখা করেছিলেন মিহির ও বিধায়ক প্রদ্যোত ঘোষ। এ দিন তাঁর কাছেও যায় বিজেপি-র দল। শুক্রবার যোগেন তৃণমূল নেতা ও বিধায়কের সামনে নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করেছিলেন। এ দিন অবশ্য বিজেপি নেতা-কর্মীদের সামনে তাঁর বক্তব্য, ‘‘বিষয়টি সম্পর্কে খুব বেশি জানা নেই। লিফলেট পড়ে দেখব।’’
‘দিদিকে বলো’র পাল্টা কি আপনারদের এই কর্মসূচি?
বিজেপি-র পঞ্চায়েত সদস্য ও সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক গৌরীশঙ্কর অধিকারীর দাবি, ‘‘এটা কোনও পাল্টা কর্মসূচি নয়। নাগরিকত্ব আইন নিয়ে মানুষের মধ্যে ভ্রান্ত ধারণা আছে। তাই এলাকার বিশিষ্ট মানুষের কাছে গিয়ে প্রচার চালানো হচ্ছে।’’ তাঁর মতে ‘‘তৃণমূল মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে। আমরা মানুষকে সচেতন করছি।’’ তৃণমূলের ব্লক সভাপতি মিহির চন্দ পাল্টা বলছেন, ‘‘বিজেপি বিশৃঙ্খলা করতেই এ সব কর্মসূচি নিয়েছে। আমরা এতে গুরুত্ব দিতে নারাজ।’’
এ দিন ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিতে পাঁচজনের সঙ্গে দেখা করেন মিহির। ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক আশিস বেলদা গ্রামীণ হাসপাতালের অব্যবস্থার কথা তুলে ধরেন। চিকিৎসক নিয়োগ, সিজার চালু ও সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের কাজ দ্রুত শেষ করার আবেদন জানান। একই সঙ্গে বেলদা-কেশিয়াড়ি রাজ্য সড়কে কেশিয়াড়ি মোড় রেললাইনের উপর ওভারব্রিজ ও বেলদাতে সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ডের দাবি জানান তিনি। বেলদাকে পুরসভা করার দাবি জানান নবোদয় পল্লির বাসিন্দা শিক্ষক গোবিন্দ সরকার। শিক্ষক মনসারাম সিংহ, আশাকর্মী কেয়া সাহা, ঠিকাদার বিজয়কৃষ্ণ দাসেরা এলাকার জল নিকাশি, পাকা রাস্তা, ভ্যাট ও নিকাশি পরিষ্কারের আবেদন জানান।