গত ৮ অগস্ট মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে (বাঁ দিকে) রাজেশ মাহাতো। —ফাইল চিত্র।
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়ে হামলা এবং মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার গাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছিলেন কুড়মি রাজেশ মাহাতো। পেশায় শিক্ষক রাজেশকে রাতারাতি অন্য স্কুলে বদলির নির্দেশ আসে। সেই নির্দেশ প্রত্যাহার করল বিকাশ ভবন। শুক্রবার বিকাশ ভবনের তরফে জারি হওয়া নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, যে স্কুলে রাজেশ পড়াতেন, সেখানেই শিক্ষকতা করবেন।
গত মে মাসে গড়শালবনিতে হামলার মুখে পড়ে অভিষেকের কনভয়। ওই ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। পরে তদন্তভার হাতে নেয় সিআইডি। গ্রেফতার হন রাজেশ মাহাতো-সহ বেশ কয়েক জন কুড়মি নেতা এবং কর্মী। খড়্গপুরের বানাপুরের একটা হাইস্কুলে ইংরেজি পড়ান রাজেশ। সেই রাজেশকে বদলি করা হয় কোচবিহারের চামটা আদর্শ হাই স্কুলে। নির্দেশে উল্লেখ করা হয়, ৫দিনের মধ্যে তাঁকে পুরোনো স্কুল ছাড়তে হবে। তার পর তিন দিনের মধ্যে রাজেশকে নতুন স্কুলে যোগ দিতে হবে।
পরে অবশ্য রাজেশরা জামিন পান। এর মধ্যে পঞ্চায়েত ভোটে নির্দল হিসাবে ভোটে ঝাড়গ্রাম এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে কুড়মিরা। রাজেশ জানান, কুড়মিদের পাশে ‘‘কোনও রাজনৈতিক দলকে কুড়মি নির্দল প্রার্থীরা সহযোগিতা করবেন না। রাজনৈতিক দলগুলির উদারতা থাকলে তারা কুড়মি প্রার্থীদের সমর্থন করুক।’’
গত ৮ অগস্ট মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঝাড়গ্রাম সফরে যান। সে দিন তাঁর সঙ্গে দেখা করেন জামিনে মুক্ত কুড়মি নেতা রাজেশ মাহাতো। অভিষেকের কনভয়ে হামলার ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া রাজেশের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রীর কী কথাবার্তা হল তা নিয়ে কৌতূহল তৈরি হয়। তা ছাড়া, পঞ্চায়েত ভোটে পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামে বেশ কয়েকটি বুথে নির্দল প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হওয়া কুড়মি প্রতিনিধিরা কি তৃণমূলকেই সমর্থন করবেন, তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। তবে তা নিয়ে কোনও পক্ষই উচ্চবাচ্য করেননি। শুক্রবার বিকাশ ভবন থেক জারি হওয়া নির্দেশিকায় শিক্ষক রাজেশের বদলির নির্দেশ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে ওই কুড়মি নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘বদলির কোনও নির্দেশিকা হাতে পাইনি। তাই ওই বিষয় নিয়ে কিছু বলার নেই।’’ সংগঠনের মিটিং ব্যস্ত আছেন বলে ফোন কেটে দেন রাজেশ।