কৃষ্ণনগর কলেজিয়েট স্কুল। —ফাইল চিত্র।
শিক্ষক দিবসে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রকে র্যাগিং করার অভিযোগে একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির পাঁচ ছাত্রকে বহিষ্কার করল স্কুল। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের ছাত্রের মৃত্যু নিয়ে যখন রাজ্য জুড়ে শোরগোল চলছে, তখন তাঁর জেলা নদিয়াতেই এমন ঘটনা ঘটেছে।
নদিয়ার কৃষ্ণনগর কলেজিয়েট স্কুলের গেটে শুক্রবার একটি নোটিস ঝোলানো হয়েছে। তাতে মোট পাঁচ ছাত্রকে বহিষ্কারের কথা জানানো হয়। বিদ্যালয় সূত্রে খবর, গত ৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবস উপলক্ষে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্ররা নিচু ক্লাসের পড়ুয়াদের ক্লাস নেয়। অভিযোগ, পঞ্চম এবং ষষ্ঠ শ্রেণির বেশ কিছু ছাত্রকে ওই ক্লাস চলাকালীন ইউনিফর্ম খুলে দাঁড়াতে বাধ্য করা হয়। বেশ কয়েক জন ছাত্রের মুখে সিগারেট গুঁজে দিয়ে তাতে টান দিতে বাধ্য করা হয় বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, এ নিয়ে শিক্ষকদের কাছে অভিযোগ করলে পরিণতি খারাপ হবে বলে পিস্তল উঁচিয়ে হুমকি দেওয়া হয়। যদিও শেষ পর্যন্ত শিক্ষকদের কানে এই অভিযোগ পৌঁছয়। তার পর এই ব্যবস্থা নেওয়া হয় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হুমকি দেওয়ার যে অভিযোগ উঠেছে, সেটি আসল কি না এবং কোথা থেকে অভিযুক্ত ছাত্র পেয়েছে, তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।
কৃষ্ণনগর কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষক মনোজ বিশ্বাস বলেন, ‘‘এক জন ছাত্রের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভব্য আচরণের অভিযোগ পেয়েছি। সব মিলিয়ে পাঁচ জনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।’’ পাশাপাশি অভিযুক্ত ছাত্রদের সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেওয়া নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, এই অভিযোগের তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত অভিযুক্ত ছাত্রদের স্কুলে পাঠাতে বারণ করা হয়েছে তাদের অভিভাবকদের। এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষকও থানায় লিখিত ভাবে অভিযোগ জানিয়েছেন। পাশাপাশি অভিভাবকদের সঙ্গে এক মত হয়ে বাড়তি সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৯ অগস্ট নদিয়ার বগুলার ছেলের মৃত্যু হয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। মেল হস্টেল বিল্ডিংয়ের নীচে তার দেহ উদ্ধার হয়। অভিযোগ ওঠে র্যাগিংয়ের শিকার হয়েছেন ওই পড়ুয়া। এ বার মৃত ছাত্রের জেলাতেও র্যাগিংয়ের অভিযোগে বহিষ্কৃত হল পাঁচ স্কুলপড়ুয়া।