ভূপতিনগর থানা। — ফাইল চিত্র।
এনআইএ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের। শনিবার ভূপতিনগর বিস্ফোরণের তদন্তে এলাকায় যায় এনআইএ। স্থানীয় দুই তৃণমূল নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গাড়িতে তোলার পরেই এনআইএর গাড়িতে হামলা হয় বলে অভিযোগ। তা নিয়ে তোলপাড় হয় রাজ্য রাজনীতি। শনিবার ভূপতিনগর থানায় হামলার লিখিত অভিযোগ দায়ের করে এনআইএ। সেই ঘটনায় এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি। তার মধ্যেই খবর, শনিবার রাতে ভূপতিনগর থানায় এনআইএ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করেছে ধৃত এক তৃণমূল নেতার পরিবার। এফআইআর দায়ের করে সেই ঘটনার তদন্ত শুরু করে দিয়েছে পুলিশ।
এনআইএর উপর হামলায় যেন সন্দেশখালির পুনরাবৃত্তি ঘটেছিল। এ বার সন্দেশখালির পুনরাবৃত্তির পথেই কি অভিযোগ দায়েরও? প্রসঙ্গত, গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শাহজাহানের বাড়িতে গিয়ে হামলার মুখে পড়েছিল ইডি। সেই সময়ও শাহজাহানের পরিবারের তরফ থেকে থানায় ইডি আধিকারিকদের বিরুদ্ধেই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। ঠিক তারই পুনরাবৃত্তি ভূপতিনগরেও। সূত্রের খবর, গভীর রাতে দরজা ভেঙে বাড়িতে ঢুকে মহিলাদের শ্লীলতাহানি করেছে এনআইএ, শনিবার রাতে এই মর্মে একটি অভিযোগ জমা পড়ে ভূপতিনগর থানায়। পুলিশ সেই অভিযোগটিকে এফআইআর হিসাবে নথিভুক্ত করে তদন্তও আরম্ভ করেছে। সূত্রের খবর, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪ ধারা, অর্থাৎ, শ্লীলতাহানির ধারা দেওয়া হয়েছে এনআইএ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে। যা জামিন অযোগ্য। পুলিশ সুপার সৌম্যদীপ ভট্টাচার্য এই বিষয়ে এখনই কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি বলেন, ‘‘এ বিষয়ে এখনই কিছু বলব না।’’
শনিবার সকালেই এনআইএ তাদের উপর হামলার অভিযোগ করেছিল ভূপতিনগর থানায়। ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এনআইএর উপর হামলার ঘটনায় একজনকেও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তার মধ্যেই এ বার শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের হল এনআইএর বিরুদ্ধে। শনিবার, উত্তরবঙ্গের তপন এবং বালুরঘাটের সভা থেকে ভূপতিনগরের ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতার কথাতেও এ বিষয়ের ইঙ্গিত ছিল। তিনি বলেছিলেন, ‘‘হামলাটা মেয়েরা করেনি। হামলাটা করেছে এনআইএ। মধ্যরাতে গিয়ে যদি মহিলাদের বাড়িতে অত্যাচার করে, তবে মহিলারা কি হাতে শাঁখা, বালা পরে বসে থাকবে? মাথায় ওড়না দিয়ে বসে থাকবে? তারা নিজেদের ইজ্জত বাঁচাবে না!’’