ডেনিস ল। —ফাইল চিত্র।
প্রয়াত ডেনিস ল। স্কটল্যান্ডের এই ফুটবলার খেলতেন ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে। মৃত্যুর সময় তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। চার বছর ধরে ভুগছিলেন ডিমেনশিয়ায়। পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে যে, শুক্রবার মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
স্কটল্যান্ডের এই ফুটবলারের সন্তানদের তরফে বলা হয়েছে, “দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে আমাদের বাবা ডেনিস ল মারা গিয়েছেন। খুব কঠিন লড়াই লড়তে হয়েছে তাঁকে। অবশেষে শান্তি পেয়েছেন তিনি। সেই সব মানুষকে ধন্যবাদ যাঁরা দীর্ঘ দিন ধরে বাবার খেয়াল রেখেছেন। আমরা জানি তাঁকে সকলে কত ভালবাসতেন।”
ববি চার্লটন এবং জর্জ বেস্টের সঙ্গে ত্রিমুখী আক্রমণে বিপক্ষকে নাজেহাল করতেন ডেনিস। তাঁদের তিন জনের দাপটে ১৯৬৫, ১৯৬৭ সালে লিগ জিতেছিল ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড। ১৯৬৮ সালে ইউরোপিয়ান কাপও জিতেছিল তারা। প্রথম ইংরেজ ক্লাব হিসাবে এই ট্রফি জিতেছিল ম্যাঞ্চেস্টার। সেই দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “ডেনিস ল-এর মৃত্যুতে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের সকলে শোকস্তব্ধ। ৪০৪টি ম্যাচে ২৩৭টি গোল করেছিলেন তিনি। ক্লাবের অন্যতম সেরা ফুটবলার তিনি। সকলে তাঁকে ভালবাসে। প্রজন্মের পর প্রজন্মকে ফুটবলকে ভালবাসতে শিখিয়েছিলেন তিনি।” ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে তাঁর মূর্তি বসানো আছে।
তবে ডেনিসের যে গোলটি নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হয়, সেটি তিনি করেছিলেন ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে। ১৯৭৩ সালে ম্যাঞ্চেস্টার সিটিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। একটি মরসুমের জন্যই খেলেছিলেন সেই দলে। ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে গোড়ালি দিয়ে ফ্লিক করে ম্যাচের শেষ মুহূর্তে গোল করেছিলেন তিনি। ১-০ গোলে জিতেছিল সিটি। সেই হারের ফলে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাটেডের অবনমন হয়েছিল। ইউরোপিয়ান কাপ জয়ের ছ’বছরের মধ্যে দ্বিতীয় ডিভিশনে নেমে যেতে হয়েছিল ডেনিসের করা ওই একটি গোলের ফলে। গোল করে ডেনিস কোনও উৎসব করেননি। ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাটেডের সমর্থকেরা মাঠে ঢুকে পড়েছিলেন। বাধ্য হয়ে ডেনিসকে তুলে নিতে হয়। দেশের হয়েও ৫৫টি ম্যাচে ৩০টি গোল করেছিলেন তিনি।